পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন।
এ আহ্বান জানিয়ে আজ রোববার একটি খোলা চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির যুগ্ম-সমন্বয়কারী জাকির হোসেনের সই করা চিঠিতে বলা হয়, ১৯৯৭ সালে ঐতিহাসিক 'পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি'র প্রায় ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এই চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
'পার্বত্য সমস্যাকে জিইয়ে রেখে বাংলাদেশের সামগ্রিক অগ্রযাত্রা সম্ভব নয়' উল্লেখ করে খোলা চিঠিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের সাত দফা বাস্তবায়নে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়।
দফাগুলো হলো-
১. পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সময়সূচি ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে এই চুক্তির দ্রুত ও যথাযথ বাস্তবায়ন করা।
২. পাহাড়ে সামরিক কর্তৃত্ব ও পরোক্ষ সামরিক শাসনের স্থায়ী অবসান।
৩. আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিকীকরণ ও স্থানীয় শাসন নিশ্চিতকরণে পার্বত্য চুক্তি মোতাবেক যথাযথভাবে ক্ষমতায়িত করা।
৪. পার্বত্য ভূমি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন কার্যকর করার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু ও ভারত থেকে প্রত্যাগত পাহাড়ি শরণার্থীদের পুনর্বাসন করে তাদের ভূমি অধিকার নিশ্চিত করা।
৫. দেশের মূলধারার অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অংশীদারত্ব নিশ্চিত করা।
৬. ইউনিয়ন পরিষদসহ সব স্তরের স্থানীয় সরকারে সমতলের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীদের জন্য বিশেষ আসন সংরক্ষণ ও বিভিন্ন জাতির জনগণের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া।
৭. সমতলের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করা।
'পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি'র পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ বাস্তবায়নে সরকার ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর প্রতি চাপ সৃষ্টি করতে রাজনীতিবিদদের প্রতি চারটি আহ্বান জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন।
এগুলো হলো-
১. সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের পক্ষে উত্থাপিত ৭ দফা দাবির আলোকে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি ঘোষণা করা।
২. প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় নির্বাচনী ইশতেহারে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের উত্থাপিত ৭ দফা দাবি অন্তর্ভুক্ত করা।
৩. রাজনৈতিক দল ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোতে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর জন্য একজন মুখপাত্র ও সাংগঠনিকভাবে সম্পাদকীয় পদ তৈরি করা।
৪. জাতীয় সংসদসহ স্থানীয় সরকার পরিষদের সব স্তরে বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া।
Comments