আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

কোহলির বড় কীর্তি ছোঁয়ার দিনে ভারতের ৩২৬ রানের পুঁজি 

৩৫তম জন্মদিনটা বিরাট কোহলি কেন, বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা তার অগণিত ভক্তরাও কখনোই ভুলতে পারবেন না।

কোহলির বড় কীর্তি ছোঁয়ার দিনে ভারতের ৩২৬ রানের পুঁজি 

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের স্কোর
ছবি: এএফপি

৩৫তম জন্মদিনটা বিরাট কোহলি কেন, বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা তার অগণিত ভক্তরাও কখনোই ভুলতে পারবেন না। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে যে দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখার কাজটা করেই ফেলেছেন কোহলি। ৪৯তম সেঞ্চুরিতে ওয়ানডেতে শচীন টেন্ডুলকারের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছেন। রোহিত শর্মার ব্যাটে ভারতের পাওয়ার প্লেতে তোলা ঝড় থেমে এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনে। কিন্তু কোহলির সেঞ্চুরির সঙ্গে শ্রেয়াস আইয়ারের ফিফটিতে ভারত ৩২৬ রানের বড় পুঁজি গড়েছে।

রবিবার কলকাতায় হাই-ভোল্টেজ ম্যাচের শুরুটাও হয় সেরকমই। রোহিত শর্মা তার শটের পসরা মেলে ধরেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সফল পেস আক্রমণ বাউন্ডারির স্রোত আটকাতে হিমশিম খায়। মার্কো ইয়ানসেন স্নায়ুযুদ্ধে হেরে শুরুই করেন ওয়াইড-বাইয়ে পাঁচ রান দিয়ে। ইয়ানসেন নয় বলের প্রথম ওভার শেষ করেন ১৭ রান দিয়ে। শুবমান গিল তার প্রথম ২২ রানই আনেন বাউন্ডারি থেকে। রোহিত শর্মাকে অপর প্রান্তে থামানোর উপায় খুঁজে পাচ্ছিল না প্রোটিয়ারা। আক্রমণাত্মক রোহিত আর গিলের ব্যাটে ২৭ বলেই ফিফটি পেয়ে যায় ভারত। 

ষষ্ট ওভারেই বোলিংয়ে পরিবর্তন আনেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। কাগিসো রাবাদা এসে রোহিতের উইকেট শিকার করেন যখন, ভারত পৌঁছে গেছে ৬২ রানে। ২৪ বলে ৬টি চার ও ১ ছক্কার ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ফিরে যান রোহিত। কোহলিও এসেও পাওয়ারপ্লেতে চারটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে উড়ন্ত শুরু পেয়ে যান। ১৪ চার ও ৩ ছক্কায় ভারত পাওয়ারপ্লেতেই এনে ফেলে ৯১ রান। ইয়ানসেন ৪ ওভারেই ৪৩ রান দিয়ে প্রথমবারের মতো এই বিশ্বকাপে পাওয়ার প্লেতে উইকেটশূন্য থাকেন। 

পাওয়ার প্লের পরই ঝড় থেমে গিয়ে শীতলতা নেমে আসে কলকাতায়। কেশব মহারাজ বাঁহাতি স্পিনারদের স্বপ্নের ডেলিভারীতে বোল্ড করে দেন গিলকে। লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়া বল টার্ন করে ভেঙ্গে দেয় গিলের স্টাম্প। ২৪ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ২৩ রানের ইনিংস খেলেই থেমে যেতে হয় গিলকে। কলকাতার স্লো টার্নিং উইকেটে দুর্দান্ত আঁটসাঁট লাইন-লেংথে মহারাজ চেপে ধরেন ভারতকে। রাবাদাও ঝড় থামানো ৫ ওভারের স্পেল শেষ করেন ১৯ রানে। শ্রেয়ার আইয়ার শুরুতে বেশ ভোগান্তিতেই পড়েছিলেন। একসময় ৩৫ বলে ১২ রানে থাকা আইয়ার পরে একাদশে ফেরা তাব্রেইজ শামসির উপর চড়াও হন। শামসিকে কয়েকটি বাউন্ডারি মারেন আইয়ার৷ তবে একপ্রান্তে নিঁখুত বোলিংয়ে বাউন্ডারিহীন দশ ওভারের স্পেল করেন মহারাজ ৩০ রান দিয়ে।

কোহলি-আইয়ারের জুটি যদিও ভাঙ্গতে পারছিল না প্রোটিয়ারা। ৩৬ রানে থাকা অবস্থায় শামসির লেগ স্টাম্প থেকে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাটের কানা লেগেছিল কোহলির, কিন্তু উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককের হাতে জমা পড়েনি তা। ১২৩ বলে চতুর্থ উইকেট জুটি শতরানের হয়ে যায়। কোহলি তার ফিফটি পূর্ণ করেন ৬৭ বলে। আইয়ারও পেয়ে যান ফিফটি ৬৪ বলে। ৩৪তম ওভারে দুইশ পেরিয়ে যায় ভারত। শ্রেয়ার আইয়ার পরে আক্রমণের পথ বেছে নিতে গিয়ে এনগিডির বলে ক্যাচ তুলেন। ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৮৭ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে যখন ফিরছেন, ভারত ২২৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারায়। লোকেশ রাহুল ১৭ বলে ৮ রান করে বাউন্ডারিতে ধরা পড়ে গেলে ২৪৯ রানেই চতুর্থ উইকেট পড়ে ভারতের। 

সূর্যকুমার যাদব এসে তাণ্ডবের ইঙ্গিত দিলেও ১৪ বলে ৫ চারে ২২ রানের ক্যামিও খেলে ফিরে যান। ওদিকে কোহলি সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যান ১১৯ বলে। তার সেঞ্চুরির উৎসব আরও বাড়িয়ে দেন শেষের দিকে রবীন্দ্র জাদেজা ঝড় তুলে। ৩ চার ও ১ ছয়ে ১৫ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন জাদেজা। ১০ চারে কোহলি অপরাজিত থাকেন ১২১ বলে ১০১ রানে।

Comments

The Daily Star  | English

Remittances grow 3% in January

Migrants sent home $2.18 billion in the first month of 2025

2h ago