‘কন্ডিশন আদর্শ নয়, কিন্তু আমাদের কোন বিকল্পও নেই’
রোববার ম্যাচের আগের দিন দিল্লির আবহাওয়া অনেকটাই ভালো বলা চলে। অন্তত আগের দিনের তুলনায় তো বটেই। তিনদিন পর এখানে দেখা মিলেছে রোদের। তবে বাতাস এখনো অনেকটা ভারি, বায়ু দূষণের মাত্রা আছে বিপদজনক ধাপে। এমন অবস্থায় ক্রিকেট খেলা আদর্শ না হলেও উপায় নেই দেখে যতটা সতর্ক থাকা যায় সেই চিন্তা করছেন বাংলাদেশের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
গত কয়েক বছর ধরেই নভেম্বর মাসে দিল্লির বায়ু চরম খারাপ পর্যায়ে চলা যায়। দিল্লির আশেপাশের রাজ্যে বছরের এই সময়টায় ফসলের নাড়া পুড়ানো হয়। যার থেকে তৈরি হওয়া ধোঁয়ার কুণ্ডলী হানা দেয় ভারতের রাজধানী শহরে। এতে করে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স হয়ে যায় নাজুক।
গত তিনদিন ধরে এমন অবস্থা চলতে থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ আছে। জনজীবন স্বাভাবিক থাকলেও ক্রিকেট খেলার মতন অবস্থা আছে কিনা এই নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন অনেকে।
২০১৭ সালে এমন সময়ে দিল্লিতে টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন শ্রীলঙ্কার কয়েকজন ক্রিকেটার ড্রেসিংরুমে বমি করেন। তখন লঙ্কান দলের কোচিং স্টাফে ছিলেন নিক পোথাস। পোথাস এখন বাংলাদেশের সহকারি কোচ।
পোথাসের কাছে সেই সময়ের পরিস্থিতি জেনে সতর্ক থাকার কথা জানালেন হাথুরুসিংহে, 'হ্যাঁ, সে আমাকে পরিস্থিতি বলেছে। আমরা একটু উদ্বিগ্ন। এই কারণে আমরা আমদের অনুশীলন সেশন বাতিল করেছি। আমরা আমাদের এক্সপোজার সীমিত রাখার চেষ্টা করছি, বাইরে যত কম থাকা যায় সেই চেষ্টা করছি। আমাদের অনুশীলন করা দরকার সেই সঙ্গে কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে সতর্কও থাকা দরকার।'
দূষণ প্রভাব বিস্তার করলে সেটা উভয় দলের জন্যই প্রযোজ্য। কাজেই এটা নিয়ে বেশি পড়েও থাকতে রাজি নয় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে যাওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার খাতায় কলমে সম্ভাবনা থাকলেও সেটা খুবই ক্ষীণ। পারফরম্যান্স বিচারে দুই দল কাছাকাছি জায়গায়। ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো উইকেটে এমন পরিস্থিতিতে শেষটা ভালো করতে চান বাংলাদেশ কোচ, 'বায়ু দূষণের কারণে দুই দলই ভুগবে। এটা আদর্শ নয় (এমন অবস্থায় খেলা), কিন্তু আমাদের কোন বিকল্পও নেই। আমাদের সামনে খেলার জন্য এই কন্ডিশনই আছে। কিন্তু পিচ ও গ্রাউন্ড খুব ভালো। আমার মনে বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা পিচে আমরা খেলতে যাচ্ছি। আমাদের দুই দলের অবস্থাই একই, উঁচুতে থেকে শেষ করার চেষ্টা করব।'
Comments