আ. লীগের শান্তি সমাবেশে এমপির সামনে পৌর মেয়রকে মারধর
কুয়াকাটায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদারকে মারধর করেছে দলের কর্মী-সমর্থকরা।
স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) মহিব্বুর রহমানের উপস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার জন্য পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের অনুসারীরা কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আ. বারেক মোল্লাকে দায়ী করলেও, এমপিকে দোষারোপ করেছেন মেয়র আনোয়ার হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, কুয়াকাটা পর্যটন মোটেল চত্বরে সন্ধ্যায় পৌর আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করেন। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগ ও কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার তার লোকজন নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হলে পৌর আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তারা মেয়র ও তার অনুসারীদের ওপর চড়াও হন।
ধাওয়া খেয়ে মেয়র পাশের একটি আবাসিক হোটেলে ঢুকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। সেখানে গিয়ে উত্তেজিত আওয়ামী লীগ কর্মীরা মেয়র আনোয়ারসহ অন্তত ১০ জনকে আহত করে বলে অভিযোগ মেয়রের।
খবর পেয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম খান পুলিশ নিয়ে উত্তেজিত কর্মী-সমর্থকদের হাত থেকে পৌর মেয়রকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান।
জানতে চাইলে সংসদ সদস্য মহিব্বুর রহমান এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের জের ধরে একটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।'
তবে কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লা ঘটনা প্রসঙ্গে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মেয়র আনোয়ার হোসেনের ওপর আমাদের কোনো দলীয় কর্মী সমার্থকরা হামলা করেনি। অন্য কোনো বিরোধের জের ধরে স্থানীয়দের সঙ্গে তার ঝামেলা হতে পারে।'
যোগাযোগ করা হলে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পৌর মেয়রের ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছি।'
জানতে চাইলে ওসি ফেরদৌস আলম মেয়রের ওপর হামলার ঘটনা স্বীকার করে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উত্তেজিত নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।'
Comments