দলের সঙ্গে বিমানবন্দরে গেলেন না সাকিব
মুম্বাইতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন উজ্জ্বল করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। হয়েছে একদম উল্টো। রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়ে সেই স্বপ্নই এখন ধূলিসাৎ হওয়ার পথে। চরম বিব্রতকর পারফরম্যান্সে ম্রিয়মাণ বাংলাদেশ দল মুম্বাই থেকে রওয়ানা হয়েছে কলকাতার উদ্দেশে।
বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় মুম্বাইয়ের বিখ্যাত তাজ মহল প্যালেস হোটেল থেকে রওয়ানা হয় বাংলাদেশ দল। দুপুর ২টায় আইসিসির ভাড়া করা বিমানে সরাসরি কলকাতার ফ্লাইট ধরবেন তারা। সেখানে আগামী ২৮ অক্টোবর নেদারল্যান্ডস ও ৩১ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ আছে বাংলাদেশের।
পুরো দল একটা বাসে করে বিমানবন্দরে গেলেও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সেখানে ছিলেন না। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে তিনি আলাদাভাবে বিমানবন্দরে গেছেন।
টিম বাসে শুরুতেই উঠেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। এরপর একে একে উঠতে দেখা যায় নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, তানজিদ হাসান তামিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের। রানে না থাকায় শান্ত ছিলেন কিছুটা বিষণ্ণ। আগের ম্যাচে একাদশে জায়গা হারালেও হৃদয় ফুরফুরে মেজাজেই ছিলেন। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা ভক্তদের আবদার মেটাতে দেখা যায় চোটে থাকা পেসার তাসকিন আহমেদকে।
বিশ্বকাপে দুই ফিফটি করা ওপেনার লিটন দাসকেও চনমনে দেখা গেছে। ছবি তোলার সময় হাত নেড়ে সাড়াও দিয়েছেন তিনি।
সবচেয়ে আগ্রহ ছিল আগের রাতে সেঞ্চুরি করা মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে। তিনি হোটেল থেকে বেরুনোর পর জমে যায় জটলার মতন। কয়েকজন ভক্ত তাকে অভিনন্দন জানালে ছোট জবাবে 'আলহামদুলিল্লাহ' বলে হাসি মুখে উঠে যান বাসে।
ওয়াংখেড়েতে আগের রাতে আগে ব্যাট করে ৩৮২ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ২৩৩ রানে গুটিয়ে ১৪৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এবারের বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচ খেলে এখনও কেবল একটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। বাকি থাকা চার ম্যাচের সবগুলো জিতলেও সেমিফাইনাল নিশ্চিত নয়। বাংলাদেশ দলের সামনে অপেক্ষা করছে তাই কঠিন চ্যালেঞ্জ।
Comments