অবরুদ্ধ গাজায় ঢুকেছে ত্রাণবাহী ২০ ট্রাক

গাজায় ত্রাণ
গাজায় ঢুকছে ত্রাণবাহী ট্রাক। ছবি: রয়টার্স

ক্রমাগত ইসরায়েলি হামলার মুখে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মিশরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে ত্রাণবাহী ২০ ট্রাক ঢুকেছে।

আজ শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিএনএন সংবাদকর্মীরা রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রথম বহর অবরুদ্ধ গাজায় ঢুকতে দেখেছেন।

এতে আরও বলা হয়, মিশর সীমান্ত থেকে এক সিএনএন স্ট্রিংগার জানিয়েছেন যে ত্রাণবাহী ২০ ট্রাক গাজায় প্রবেশের পর সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়।

মিশরের টেলিভিশনে ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে মিশর সীমান্ত থেকে রাফাহ ক্রসিং অতিক্রম করার দৃশ্য সরাসরি দেখানো হয়।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, মানবিক সহায়তা নিয়ে রেড ক্রিসেন্টের ট্রাকগুলো মিশর থেকে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজা উপত্যকায় পৌঁছাতে শুরু করেছে।

গাজার জনসংখ্যা ২৩ লাখ। সহায়তা কর্মীরা এই ২০ ট্রাক ত্রাণকে 'সাগরে এক ফোটা পানি' বলে মন্তব্য করেছেন বলেও আল জাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক্স বার্তায় (সাবেক টুইটার) বলা হয়, গাজায় যাওয়া ট্রাকগুলোর মধ্যে চারটিতে চিকিৎসা সামগ্রী আছে।

সিএনএন'র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর আগে হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকারের মিডিয়া অফিস এক বার্তায় বলেছে, ধারণা করা হচ্ছে ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোয় 'ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী ও সামান্য টিনজাত খাবার' আছে।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রাফাহ ক্রসিংয়ের গাজা অংশে কয়েকটি ছোট ছোট খালি ট্রাক দেখা গেছে। মিশর থেকে আসা ত্রাণগুলো সেই সব ছোট ট্রাকে নিয়ে বিতরণ করা হবে।

ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোয় ওষুধ ও খাবার থাকলেও কোনো জ্বালানি নেই বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো গাজায় ঢোকার সময় সীমান্তের মিশরীয় অংশে জড়ো হওয়া মানুষদের উল্লাস করতে দেখা গেছে।

আল জাজিরার সংবাদে বলা হয়েছে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক সিনডি ম্যাককেইন ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় ঢোকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, এই ২০ ট্রাক ত্রাণ যথেষ্ট নয়।

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

30m ago