আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হার থেকে শিক্ষা নেওয়ার আশায় পাকিস্তান

ক্যাচ ফসকানো, এলোমেলো বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়ে লক্ষ্যের দিকে ছুটেও পথ হারানো। বেঙ্গালুরুতে শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ছিল পাকিস্তানের হতাশার রাত। মোটামুটি বড় ব্যবধানে হারার পর এই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নেওয়ার আশা দেখছে তারা

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হার থেকে শিক্ষা নেওয়ার আশায় পাকিস্তান

Abdullah Shafique

ক্যাচ ফসকানো, এলোমেলো বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়ে লক্ষ্যের দিকে ছুটেও পথ হারানো। বেঙ্গালুরুতে শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ছিল পাকিস্তানের হতাশার রাত। মোটামুটি বড় ব্যবধানে হারার পর এই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নেওয়ার আশা দেখছে তারা। ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক জানালেন তেমনটাই।

আগে বোলিং বেছে দুই অজি ওপেনারের তাণ্ডবের মধ্যে পড়ে পাকিস্তান। ডেভিভ ওয়ার্নার আর মিচেল মার্শ দুইশো ছাড়ানো জুটিতে যেভাবে খেলছিলেন মনে হচ্ছিল চারশো ছাড়িয়ে যাওয়া সময়ের ব্যাপার। শেষ দিকে ভালো বল করে সেটা হতে না দিলেও দুই সেঞ্চুরিতে অজিরা করে ৩৬৭ রান।

যার জবাবে ৩০৫ রানে গুটিয়ে ৬২ রানে ম্যাচ হারে পাকিস্তান। পাকিস্তানকে হারাতে ১২৪ বলে ১৬৩ রান করেন ওয়ার্নার। মার্শ ১০৮ বলে করেন ১২১। পরে লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা ৫৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে শেষ করে দেন ম্যাচ।

ওপেন করতে নেমে এদিন পাকিস্তানের হয়ে ৬১ বলে ৬৪ রান করে ভালো শুরু এনেছিলেন শফিক। ৭১ বলে ৭০ করে ইমাম উল হকও ছিলেন সাবলীল। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান লড়েছেন কিছুটা।

তবে এই ম্যাচটাতে কিছু মারাত্মক ভুল না করলে ভিন্ন হতে পারত ছবি। ১৬৩ রান করা ওয়ার্নার ১০ রানেই দিয়েছিলেন জীবন। তার লোপ্পা ক্যাচ ছেড়ে দেন উসামা মীর।

দলের হয়ে কথা বলতে এসে এই ক্যাচের প্রসঙ্গে বলতে হয় শফিককে, 'ক্যাচ ফসকানো অবশ্যই ম্যাচ বদলে দিয়েছে। আপনি উইকেট পেলে মোমেন্টামও পেতেন। সব ফিল্ডাররা চেষ্টা করেছে মাঝেমাঝে হয় না।'

শফিক মনে করেন অজিদের ভালোই জবাব দিচ্ছিলেন তারা। তবে মিডল অর্ডারে ইনিংস টানতে না পারার পুড়েছেন আক্ষেপে,  'অস্ট্রেলিয়া ভালো খেলেছে। আমাদের ব্যাটিংও ভালো ছিল তবে মাঝের ওভারে আমরা শেষ করতে পারিনি।'

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের মাঠের আকার ছোট। উইকেটও ব্যাট করার জন্য আদর্শ। এমন অবস্থায় প্রতিপক্ষকে চারশোর নিচে আটকাতে পারাকেই বোলারদের সাফল্য মনে করেন তিনি, সেই 'বোলিং ইউনিট হিসেবে আমরা শেষ দিকে আমরা ভালো বল করেছি।'

পাকিস্তানের এই ব্যাটার জানান, এই হার তাদের দেবে শিক্ষা। এই শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচগুলোতে ফল নিজেদের পক্ষে আনতে পারবেন তারা,  'আশা করছি ভুল থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারব এবং পরের ম্যাচগুলোতে পারফর্ম করব।'

Comments

The Daily Star  | English

Remittances grow 3% in January

Migrants sent home $2.18 billion in the first month of 2025

2h ago