মেধাহীনরা পার্লামেন্টেও যাচ্ছে, দেশও পরিচালনা করছে: তথ্যমন্ত্রী

মেধাহীনরা পার্লামেন্টেও যাচ্ছে, দেশও পরিচালনা করছে: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

মেধাবীদের রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'রাজনীতি থেকে মেধাবীরা দূরে সরে যাচ্ছে। রাজনীতির মঞ্চ তো সে জন্য খালি থাকছে না! মেধাবীরা রাজনীতিতে না এলে মেধাহীনরা রাজনীতির মঞ্চ দখল করছে এবং মেধাহীনরা পার্লামেন্টেও যাচ্ছে। দেশও পরিচালনা করছে। সে জন্য মেধাবীদের রাজনীতিতে আসা প্রয়োজন।'

আগামী নির্বাচনের পরে আবারও তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে শিগগির বিএনপির পক্ষ থেকে ঘোষণা আসবে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাব-এডিটর কাউন্সিলের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আসলে আমরা কেউ রাজনীতি বাইরে নই। কেউ রাজনীতি না করলেও রাজনীতির প্রভাব প্রত্যেকের জীবনে আছে। সে জন্য আমি মনে করি, আমাদের শিশুদের; ভবিষ্যত বাংলাদেশের কর্ণধরদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য সুস্থ রাজনীতি দেশে দরকার। অসুস্থ রাজনীতি সমাজকেও অসুস্থ করে দেয়। সহিংসতার রাজনীতি এবং সব কিছুকে উড়িয়ে দেওয়ার রাজনৈতিক যে সংস্কৃতি আমরা চালু করেছি—এটি পুরো রাজনীতিকে অসুস্থ করে দিচ্ছে।

'সেটি আমাদের সমাজের ওপর প্রভাব ফেলছে এবং আজকে যারা নতুন প্রজন্ম, ভবিষ্যতে দেশ চালাবে তাদের ওপরও প্রভাব ফেলছে। আরেকটি বড় বিষয় হচ্ছে, রাজনীতিতে মেধাবীরা আসছে না। '

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উৎসাহ না থাকলে তার পিএইচডি করা হতো না বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, 'মেধাবীরা না এলে যারা সুযোগ-সন্ধানী তারা রাজনীতিতে জায়গা করে নেয়। আজকে দুঃখজনক হলেও সত্য যে, রাজনীতি যে একটি ব্রত, দেশ সেবা-সমাজে সেবা, দেশ পরিবর্তন, সমাজ পরিবর্তন, সমাজ উন্নয়ন, রাষ্ট্র উন্নয়ন—রাজনীতি যে পেশা নয়, এটি একটি ব্রত সেটাই অনেক রাজনীতিবিদ জানে না।'

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'গতকাল ঢাকায় দুটি বড় সমাবেশ হয়েছে এবং দুটি সমাবেশের মধ্যে দূরত্ব ছিল মাত্র দুই কিলোমিটার। ঢাকা শহরে বিন্দুমাত্র কোনো গণ্ডগোল হয়নি। রাজনীতির চর্চাটা তেমনই হওয়া প্রয়োজন কিন্তু নয়াপল্টনের সামনে সমাবেশ থেকে বলা হলো, ২৮ তারিখ তারা সমাবেশ করবেন, তখন থেকে সরকারের পতনের যাত্রা শুরু হবে।

'মানুষ হস্যরস করে বলে, এটা এবারের ২৮ তারিখ নাকি আগামী বছরের ২৮ তারিখ নাকি তার পরের বছরের ২৮ তারিখ। আজকে নাকি ২৮ অক্টোবরের আগেই সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে। বিএনপি কিছু দিন আগে বলেছিল, অক্টোবর মাসে ফাইনাল খেলা। আমরা আশা করেছিলাম, অক্টোবর মাসের শুরুতে তারা ফাইনাল খেলার দিন-তারিখ ঘোষণা করবে। তারপর বললো যে, পূজার পরে। এখন দেখলাম, সেটি ২৮ অক্টোবর নিয়ে গেছে। খুব সহসা, ২৮ অক্টোবর তারা নির্বাচনের পরে আন্দোলনের ঘোষণা দেবে।'

তিনি আরও বলেন, 'আগামী নির্বাচনের পরে বিএনপি আবার একটা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা আগামী ২৮ তারিখ দেবে বলে মানুষ ধারণা করছে। কারণ গত প্রায় ১৫ বছর ধরে আমরা এই আন্দোলনের হুমকির মধ্যে আছি। বাস্তবতা হচ্ছে, বিএনপি কর্মী ছাড়া জনগণের সম্পৃক্ততা সেখানে নেই।'

হাছান মাহমুদ বলেন, 'তারা ঘোষণা করেছে ২৮ তারিখ সরকারের পতনযাত্রা। আসলে ২৮ তারিখ বিএনপির পতনযাত্রা শুরু হবে। আগামী নির্বাচনের পরে আমরা আবার তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলব, সহসা এই ঘোষণা তাদের করতে হবে।'

ফিলিস্তিনের ঘটনায় প্রতিবাদ না জানানোর কারণে বিএনপির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'এটি দুঃখজনক এবং এটির প্রতিবাদ না জানিয়ে বিএনপি কার্যত এই বর্বরতার পক্ষ অবলম্বন করেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh, Pakistan, China launch trilateral cooperation mechanism

A working group will be formed to follow up on and implement the understandings reached during the meeting

2h ago