রোনালদোর জোড়া গোল, টানা সাত জয়ে ইউরোতে পর্তুগাল

ছবি: এএফপি

প্রথমার্ধে আধিপত্য বিস্তার করে খেলা পর্তুগালকে দ্বিতীয়ার্ধে পড়তে হলো প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে। তবে তাদের একটানা জয়ের পথে বাধা হতে পারল না স্লোভাকিয়া। শেষ হাসি হেসে ২০২৪ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে উঠল তারা।

শুক্রবার রাতে ঘরের মাঠে পোর্তোতে বাছাই পর্বের ম্যাচে ৩-২ গোলে জিতেছে পর্তুগিজরা। তাদের হয়ে জোড়া গোল করেন তারকা ফরোয়ার্ড ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। অন্য গোলটি গনসালো রামোসের। সফরকারীদের দুই গোলদাতা হলেন দাভিদ হান্সকো ও স্তানিস্লাভ লোবোতকা।

'জে' গ্রুপে সাত ম্যাচের সবকটিতেই জিতল রবার্তো মার্তিনেজের শিষ্যরা। এতে আগামী বছর জার্মানিতে অনুষ্ঠেয় আসরের টিকিট পেল তারা। সেটাও আবার তিন ম্যাচ হাতে রেখেই।

ম্যাচের ১৮তম মিনিটে রামোস স্বাগতিকদের এগিয়ে নেওয়ার পর ২৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রোনালদো। দুই গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় পর্তুগাল। ৬৯তম মিনিটে হান্সকোর লক্ষ্যভেদে স্লোভাকিয়া ব্যবধান কমায়। তিন মিনিট পরই পেনাল্টি থেকে জাল কাঁপিয়ে ফের ব্যবধান বাড়ান রোনালদো। ৮০তম মিনিটে লোবোতকা গোল করলে ম্যাচে তৈরি হয় রোমাঞ্চকর আবহ। তবে পর্তুগিজদের জয় ঠেকাতে পারেনি স্লোভাকরা।

ম্যাচের পর সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নিজের স্বীকৃত পেজে উচ্ছ্বসিত রোনালদো লিখেছেন, 'আমরা ২০২৪ ইউরোতে উঠে গেছি! আরেকটি দুর্দান্ত প্রতিযোগিতার মূল পর্বে পৌঁছাতে পর্তুগালকে সাহায্য করতে পেরে ভীষণ খুশি।'

ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

ম্যাচ শুরুর আগে রোনালদোর হাতে একটি সম্মাননা তুলে দেওয়া হয় পর্তুগালের জার্সিতে ২০০ ম্যাচ খেলার মাইলফলকের জন্য। গত জুনে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ছেলেদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে ম্যাচ খেলার 'ডাবল সেঞ্চুরি'র রেকর্ড গড়েন তিনি। সেদিন তার গোলেই আয়ারল্যান্ডের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছিল ২০১৬ ইউরোর চ্যাম্পিয়নরা।

ওই অনন্য অর্জনের পর দেশের মাটিতে এটাই ছিল রোনালদোর প্রথম ম্যাচ। মাঝে লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে ৯-০ গোলের বিশাল জয়ের ম্যাচে খেলতে পারেননি সিআর সেভেন খ্যাত ফুটবলার। কারণ কার্ডজনিত নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন তিনি।

সম্মাননা পাওয়ায় ৩৮ বছর বয়সী রোনালদো যোগ করেছেন, 'এমন সুন্দরভাবে সম্মান জানানোর জন্য পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন ও স্টেডিয়ামে উপস্থিত ভক্তদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ!'

উল্লেখ্য, জাতীয় দলের হয়ে ২০২ ম্যাচে রোনালদোর গোলের সংখ্যা এখন ১২৫টি। ছেলেদের আন্তর্জাতিক ফুটবলের ইতিহাসে তিনিই সর্বোচ্চ গোলদাতা। বয়স ৩০ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর এই নিয়ে ৭৩টি গোল তিনি করলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus calls for working together amid global challenges

Highlights importance of building an economy where fruits of technology, growth are shared evenly by all people

29m ago