বাগেরহাট

সুপারির ভালো ফলনেও দামে হতাশ কৃষক

ছবি: পার্থ চক্রবর্তী/ স্টার

বাগেরহাটে সুপারির ভালো ফলন হলেও ভালো দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। গত বছরের তুলনায় দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে আসায় হতাশ তারা।

কৃষকরা বলছেন, গত বছর সুপারির কুড়ি (২৩১টি) ৮০০ টাকায় বিক্রি হলেও এবার দাম নেমে এসেছে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। প্রত্যেক হাটে সক্রিয় সিন্ডিকেটের কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

বাগেরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বাগেরহাটে সুপারি বাগান রয়েছে ৩ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিতে। ২২-২৩ অর্থবছরে সুপারির উৎপাদন ছিল ২৬ হাজার ১২৩ মেট্রিক টন। এ বছর উৎপাদন বেশি হচ্ছে।

বাগান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফলন বেশি হওয়ায় মৌসুমের শুরুতে বাজার বেশি থাকলেও কয়েক সপ্তাহ পর থেকে ক্রমাগত কমতে থেকে সুপারির দাম। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সুপারি কিনে বাইরে পাঠানো হতে থাকে। তাই বাজারে সুপারির অনুপাতে বাইরের ক্রেতা কম। এখনও দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাধাল, কচুয়া, মাজারসহ বড় বড় হাটগুলোয় না আসায় বাধ্য হয়ে কম দামে স্থানীয় পাইকারদের কাছে সুপারি বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের।

কচুয়া উপজেলার সাংদিয়া গ্রামের গ্রামের সুপারি চাষী আবুল হোসেন খান বলেন, 'গত বছরের তুলনায় এ বছর সুপারির দাম অনেক কম। বাজারে আসছেন না বাইরের পাইকাররা। স্থানীয়রা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কিনে নিয়ে বাইরে পাঠাচ্ছেন। খুব অল্প দামে বিক্রি করতে হচ্ছে সুপারি। যে সুপারি গত বছর ৮০০ টাকা কুড়ি ছিল, এ বছর সেই সুপারি ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা। কেউই বেশি দাম বলে না। সিন্ডিকেট কাজ করছে।'

একই গ্রামের আরেক কৃষক ভাস্কর ব্যানার্জি বলেন, 'একটি গাছ থেকে এক ছড়া সুপারি পেড়ে আনতে ১০ টাকা দিতে হয়। তারপর ছড়া থেকে সুপারি ছাড়ানো, গণনা করা, হাটে নেওয়াও অনেক খরচ। তারপর যদি ৮০০ টাকার সুপারি আড়াইশো থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি করতে হয় সেটা খুব দুঃখজনক। আমরা হতাশ, কী করব জানি না। কোনো ব্যবসায়ী বেশি দাম বলেন না। আমাদের মনে হয় সিন্ডিকেট কাজ করছে।'

কচুয়ার উপজেলার সুপারি ব্যবসায়ী নারায়ণ চন্দ্র বাওয়ালি বলেন, 'আমরা সুপারি কিনে রংপুর বিভিন্ন জায়গায় পাঠাই। আড়াইশো থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত সুপারি কিনছি।'

আরেক ব্যবসায়ী শহিদ খান বলেন, 'বাজারে সুপারি আমদানি বেশি তাই দাম কম। আমরা কোনো সিন্ডিকেট দেখছি না।'

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শংকর কুমার মজুমদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি দাম ও সিন্ডিকেটের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Dengue cases see sharp rise in early July

Over 1,160 hospitalised in first 3 days, total cases cross 11,000

10h ago