শেষ সময়ে জমজমাট শরীয়তপুরের ইলিশের বাজার
আজ বুধবার মধ্যরাত ১২টা থেকে থেকে ২২ দিনের জন্য ইলিশ মাছ ধরা, পরিবহন ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছ। তাই রাতে শেষ সময় জমে উঠতে দেখা গেছে শরীয়তপুরের ইলিশের বাজার।
রাত সাড়ে ১০টায় শরীয়তপুর পালং মধ্য বাজার মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, উৎসবমুখর পরিবেশে শরীয়তপুর সদর উপজেলার পালং মধ্য বাজারে মাছ কেনাবেচা করছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। চারপাশে আনন্দঘন পরিবেশ।
ইলিশ মাছের হাঁক ডেকে বিক্রেতারা বলছেন, 'লইয়া যান ইলিশ মাছ, বাইছা লন ইলিশ মাছ, পরে আর পাইবেন না।' ক্রেতারাও কেনাকাটায় ব্যস্ত।
২১ বছর ধরে এই বাজারের মাছ বিক্রেতা মো. কামরুল ইসলাম (৩২)।
তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কেজিতে ৬ পিসের মাছ ৫০০ টাকায়, ৭ পিসের মাছ ৫৫০ টাকায়, ৪ পিসের মাছ ৭০০ টাকায়, ৩ পিসের মাছ ৯০০ টাকায় এবং ২ পিসের মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকায়। ক্রেতারা ভালোই মাছ কিনছেন। আগের চেয়ে একটু কমদামে মাছ ছেড়ে দিচ্ছি। মধ্যরাত পর্যন্ত মাছ বিক্রি করব।'
উপজেলার তুলাসারর গ্রামের রিকশাচালক কালু মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '৫৫০ টাকা কেজি দিয়া ২ কেজি মাছ কিনছি, ১৪ পিস মাছ পাইছি। গরিব মানুষ অন্য সময় তো আর কিনতে পারি না। দাম একটু কম হওয়ায় আজকে কিনছি। প্রতিবেশীর ফ্রিজে রাইখা খামু।'
শেষ সময় ইলিশ কিনতে বরিশালের বাজারে ক্রেতারা
বুধবার রাত ৯টার পর বরিশালের পোর্ট রোড পাইকারি মৎস্য বাজারেও শেষ সময়ের বেচাকেনা জমে উঠতে দেখা গেছে। ছোট আকারের ইলিশ কেনার জন্য ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে সেখানে। তবে ইলিশের দাম ছিল চড়া।
৫০০ গ্রামের নিচে ইলিশ বিক্রি হচ্ছিল ৭০০ টাকা কেজি দরে। ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকায়, ১ কেজির ইলিশ ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায়। বরিশাল ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের ভোলা, কলাপাড়াসহ ইলিশের মোকামগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
তবে বাজারে ইলিশ ছিল সামান্য। কমদামে কিনতে না পেরে ক্রেতাদের দারুণ হতাশ হতে দেখা যায়।
ক্রেতা মামুন হোসাইন বলেন, 'ভেবেছিলাম কম দামে ইলিশ কিনতে পারব। কিন্তু এবার শেষ মুহূর্তেও দাম কমেনি।'
মৎস্য আড়ত সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকাদার বলেন, 'এবার ইলিশ খুবই কম পাওয়া গেছে। বাজারে চড়া দাম।'
Comments