ব্রয়লার মুরগির অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি

কাজী ফার্মসসহ ২ প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৮ কোটি টাকা জরিমানা

বাজারে অস্বাভাবিকভাবে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ানোর কারণে কাজী ফার্মসকে ৫ কোটি টাকা এবং সাগুনা ফুড অ্যান্ড ফিডস বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডকে ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন।

আজ সোমবার বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজকে মামলা দুটির রায় হয়েছে। কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতা আইন ২০১২ এর ১৫ ধারা লঙ্ঘন করায় তাদেরকে এই জরিমানা করা হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'এখন কোম্পানিগুলোকে জরিমানার টাকা ১০ কার্য দিবসের মধ্যে কমিশনকে প্রদান করতে হবে। তারা যদি যথাসময়ে জরিমানা প্রদান করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে প্রতিদিনের জন্য তাদের আরও এক লাখ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে কমিশনকে।'

'তবে কোম্পানি দুটি চাইলে এই রায়ের বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আপিল করতে পারবে,' যোগ করেন তিনি।

প্রতিযোগিতা আইনের ১৫ (১) ধারায় বলা হয়েছে, 'কোন ব্যক্তি কোন পণ্য বা সেবার উৎপাদন, সরবরাহ, বিতরণ, গুদামজাতকরণ বা অধিগ্রহণ সংক্রান্ত এমন কোন চুক্তিতে বা ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশে (Collusion), প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, আবদ্ধ হইতে পারিবে না যাহা প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে বা বিস্তারের কারণ ঘটায় কিংবা বাজারে মনোপলি (Monopoly) অথবা ওলিগপলি (Oligopoly) অবস্থার সৃষ্টি করে।'

আপিলের বিষয়ে আইনের ২৯ (১) ধারায় বলা হয়েছে, 'এই আইনের অধীন কমিশনের কোন আদেশ দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে উক্ত ব্যক্তি আদেশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফরমে ও ফি প্রদান সাপেক্ষে উহা (ক) পুনর্বিবেচনার জন্য কমিশনের নিকট; অথবা (খ) আপীলের জন্য সরকারের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ২০ এর অধীন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত কোন প্রশাসনিক আর্থিক জরিমানা সংক্রান্ত আদেশ দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তাহার উপর আরোপিত জরিমানার- (ক) ১০% অর্থ কমিশনে জমা করিয়া পুনর্বিবেচনার; বা (খ) ২৫% অর্থ সরকারের নিকট জমা করিয়া আপীলের আবেদন জরিমানার জমার রশিদসহ, করিতে পারিবেন।'

গত বছরের সেপ্টেম্বরে চাল, আটা, ডিম, হাঁস-মুরগি এবং প্রসাধন সামগ্রীর মতো জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি করার জন্য কৃত্রিম সংকট তৈরির অভিযোগ এনে একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৪৪টি মামলা করে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে কাজী ফার্মসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ মোবাইলে কল রিসিভ করেননি। হোয়াটসঅ্যাপ ও মেইলে তাদের কাছে প্রশ্ন করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

সাগুনা ফুড অ্যান্ড ফিডসের কান্ট্রি হেড জেমস অমলানাথন বলেন, 'আমি বুঝতে পারছি না কেন আমাদের জরিমানা করা হলো। এটা ভিত্তিহীন। আমরা আমাদের ব্যাখ্যা দিয়েছি এবং সব ডেটা দিয়েছি। আমরা এ নিয়ে আপিল করব।'

Comments

The Daily Star  | English

Palak admits shutting down internet deliberately on Hasina's order

His testimony was recorded by the International Crime Tribunal's investigation agency following a questioning session held yesterday

1h ago