ইলেকট্রন জগতে আলো ফেলে পদার্থবিদ্যায় এবারের নোবেল

পদার্থবিদ্যায় নোবেলজয়ী ৩ বিজ্ঞানী। ছবি: সংগৃহীত

পদার্থবিদ্যায় ২০২৩ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন পিয়ের আগোস্তিনি (যুক্তরাষ্ট্র), ফেরেন্স ক্রাউজ (হাঙ্গেরি) ও অ্যান লিয়ের (ফ্রান্স)। ইলেকট্রন ডাইনামিকস নিয়ে গবেষণা করে নোবেল পেয়েছেন তারা।

জটিল এই গবেষণার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন।

ছবি: নোবেল কমিটির ওয়েবসাইট থেকে

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এবার নোবেল দেওয়া হয়েছে এক্সপেরিমেন্টাল ফিজিক্সের ওপরে কাজের জন্য। তারা গবেষণা করেছেন লেজার ফিজিক্স নিয়ে সেখানে তারা অ্যাটোসেকেন্ডের লেজার পালস পদ্ধতি বের করেছেন। এটি একটি যুগান্তকারী কাজ কারণ এই পালস বস্তুর মধ্যে ইলেক্ট্রনের গতি প্রকৃতি জানতে সাহায্য করবে।

'তাদের কাজের গুরুত্ব বুঝতে হলে ১ অ্যাটোসেকেন্ড কী, সেটা আগে বুঝতে হবে। ১ এর পরে ১৮টা শূন্য দিলে যে নম্বর সেটা দিয়ে ১ সেকেন্ডকে ভাগ দিলে যে সময় হয় সেটা ১ অ্যাটোসেকেন্ড। ইলেকট্রনের পালস বুঝতে তারা খুবই ক্ষুদ্র সময়ের জন্য ইলেকট্রনের ওপর আলোকসম্পাতের পদ্ধতি বের করেছেন। ইলেকট্রনের আচরণ বুঝতে পারার জন্য ওই অল্প সময়ের পালস গণনা দরকার।'

'তারা দুর্দান্ত একটি গবেষণা করেছেন। পদার্থের আণবিক কণার মধ্যে ইলেকট্রনের গতিপ্রকৃতি বোঝার জন্য এই গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ,' বলেন তিনি।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ বছরের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

ফরাসি বংশোদ্ভূত পিয়ের আগোস্তিনি বর্তমানে আমেরিকার ওহায়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত হাঙ্গেরির নাগরিক ফেরেন্স ক্রাউজ জার্মানির গবেষণা সংস্থা 'মিউনিখ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ফোটোনিক্স' এ কাজ করেন। ফরাসী বিজ্ঞানী অ্যান লিয়ের সুইডেনের লান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণু পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধান।

এ বছর পুরস্কারের মোট অংক ১০ লাখ ডলার (প্রায় ৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা) ৩ বিজ্ঞানীর মধ্যে ভাগ করে দেবে নোবেল কমিটি।

পদার্থবিদ্যার নোবেল কমিটির চেয়ার ইভা ওলসন বলেন, 'এই গবেষণার মাধ্যমে আমাদের ইলেকট্রন জগতের দরজা খুলে গেল। অ্যাটোসেকেন্ড পদার্থবিদ্যা আমাদের ইলেকট্রন নিয়ন্ত্রিত সকল বস্তু কীভাবে প্রক্রিয়া করে তা বোঝার সুযোগ দেয়। পরবর্তী ধাপে এটি ব্যবহার করা হবে।'

৩ বিজ্ঞানীর এই গবেষণা বিভিন্নক্ষেত্রে অবদান রাখবে। ইলেকট্রনিক্সের ক্ষেত্রে কোনো বস্তুতে ইলেকট্রন কীভাবে আচরণ করে তা বোঝা এবং নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাটোসেকেন্ড পালস বিভিন্ন অণু শনাক্ত করতে ব্যবহার করা যাবে। মেডিকেল ডায়াগনস্টিকসে এ গবেষণা যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh sees window of opportunity in Trump’s trade war

US President-elect Donald Trump’s trade policies towards China and Mexico could ultimately benefit Bangladesh, according to local apparel exporters.

9h ago