বন্ধ হলো রাশিয়া-জাপান বার্ষিক ২০০ কোটি ডলারের রিকন্ডিশন্ড গাড়ির ব্যবসা

রাশিয়ার একটি ডিলারের দোকানে জাপানী টয়োটা গাড়ি। ফাইল ছবি: রয়টার্স
রাশিয়ার একটি ডিলারের দোকানে জাপানী টয়োটা গাড়ি। ফাইল ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ায় রিকন্ডিশন্ড গাড়ি রপ্তানি বন্ধ করেছে জাপান। দুই দেশের এই বাণিজ্যের মূল্যমান বছরে প্রায় ২০০ কোটি ডলার।

আজ সোমবার রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালানোর পর জাপানসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে বাণিজ্যে বিধিনিষেধ আরোপ করে। তা সত্ত্বেও এতদিন পর্যন্ত জাপান-রাশিয়া রিকন্ডিশন্ড গাড়ির ব্যবসা বন্ধ হয়নি 

আগস্টে জাপান সরকার সাবকমপ্যাক্ট গাড়ি ছাড়া রাশিয়ায় সব ধরনের গাড়ি রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যার ফলে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের একটি লাভজনক প্রক্রিয়া থেমে যায়।

এই বিধিনিষেধ আরোপের আগে পর্যন্ত কিছু ব্যবসায়ী ফুশিকির মতো ছোট ছোট বন্দর দিয়ে জাপান সাগরের মাধ্যমে মূলত টয়োটা, হোন্ডা ও নিসান গাড়ির এই বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছিলেন।

রাশিয়ায় রিকন্ডিশন্ড গাড়ির সবচেয়ে বড় উৎস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর জাপানে এ ধরনের গাড়ির দাম কমে গেছে। ব্যবসায়ীরা এখন অন্যান্য বাজারে এই গাড়িগুলো পাঠাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, বিশেষত যেসব দেশে জাপানের মতো রাইট হ্যান্ড ড্রাইভ (ডান হাতে স্টিয়ারিং ধরে গাড়ি চালানো) নীতি প্রচলিত। এমন দেশের মধ্যে আছে নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশ।

২০২২ এর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর টয়োটাসহ জাপানের বড় গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো রাশিয়ায় নতুন গাড়ি রপ্তানি বন্ধ করায় দেশটিতে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির চাহিদা বেড়ে যায়।

গত বছর নাগাদ জাপানের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি রপ্তানির ২৫ শতাংশই হচ্ছিল রাশিয়ায়। প্রতিটি গাড়ির গড় মূল্য ছিল ৮ হাজার ২০০ ডলার, যা ২০২০ এর দামের দ্বিগুণেরও বেশি। সে সময় জাপানের ১৫ শতাংশ রিকন্ডিশন্ড গাড়ি রপ্তানি হত রাশিয়ায়।

২০২৩ এর প্রথম ৮ মাসে রাশিয়া ৩ লাখ ৩ হাজার পূর্বে ব্যবহৃত গাড়ি আমদানি করে, যার অর্ধেকের বেশিই এসেছে জাপান থেকে। একই সময়ে ৬ লাখ ৬ হাজার ৯৫০টি নতুন গাড়ি বিক্রি হয়েছে, যার বেশিরভাগই রুশ ও চীনের ব্র্যান্ডের।

বেশ কয়েক দশক ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি রপ্তানি করে আসছে জাপান। বাধ্যতামূলকভাবে প্রতি বছর পুরনো গাড়ির কার্যকারিতা ও উপযোগিতা পরীক্ষা করানোর বাধ্যবাধকতা থাকার কারণে জাপানের নাগরিকরা পুরনো গাড়ি ব্যবহারে আগ্রহী হন না। সে তুলনায় নতুন গাড়ি কেনার জন্য খুব সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া যায় আর বারবার পরীক্ষা করানোর ঝামেলাও নেই।

এ কারণে দেশটি থেকে প্রতি বছর লাখো ব্যবহৃত গাড়ি রিকন্ডিশনিং এর পর রপ্তানি হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Cyber protection ordinance: Draft fails to shake off ghosts of the past

The newly approved draft Cyber Protection Ordinance retains many of the clauses of its predecessors that drew flak from across the world for stifling freedom of expression.

10h ago