ব্যাংকগুলোর সিএসআর ব্যয় কমেছে ৯ শতাংশ

করপোরেট সোশ্যাল রেসপন্সসিবিলিট, সিএসআর, ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ,
ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের প্রথমার্ধে দেশের ব্যাংকগুলোর করপোরেট সোশ্যাল রেসপন্সসিবিলিট (সিএসআর) সংক্রান্ত ব্যয় গত বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ২২ শতাংশ কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশের ৬১টি ব্যাংকের সিএসআর ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৫৭১ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬২৯ কোটি টাকা।

ব্যাংকাররা বলছেন, চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে মুনাফার ধীর প্রবৃদ্ধিই সিএসআর ব্যয় কমার প্রধান কারণ।

অন্যদিকে চলতি বছরের প্রথমার্ধে বাংলাদেশের ৩৫টি তালিকাভুক্ত ব্যাংকের মুনাফা আগের বছরের তুলনায় ৯ শতাংশ কমে ৪ হাজার ১৬০ কোটি টাকা হয়েছে।

ব্যাংকারদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ব্যাংকিং খাত বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। যার মধ্যে আছে- উচ্চ খেলাপি ঋণ, তারল্য ঘাটতি ও সুশাসনের অভাব। এসব কারণে সিএসআর কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। যা আগের বছরের তুলনায় ১৬ দশমিক ০২ শতাংশ বেশি।

বেসরকারি ডাচ-বাংলা ব্যাংক চলতি বছরের প্রথমার্ধে সর্বোচ্চ সিএসআর ব্যয় করেছে ৬১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। গত বছরের একই সময়ে ব্যাংকটি সিএসআর খাতে ব্যয় করেছিল ৩৯ কোটি টাকা।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এ বছর সিএসআর-সংক্রান্ত ব্যয় করেছে মাত্র ৪৬ কোটি টাকা। গত বছর ব্যয় করেছিল ২০২ কোটি টাকা, যা ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল।

এছাড়া আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ৪২ কোটি টাকা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ৩৮ কোটি টাকা, যমুনা ব্যাংক ৩৮ কোটি টাকা, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ৩৫ কোটি টাকা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ৩০ কোটি টাকা ও এক্সিম ব্যাংক ২৮ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।

তবে আর্থিক সংকটের কারণে ১০টি ব্যাংক এখনো এ ধরনের উদ্যোগের জন্য একটি পয়সাও ব্যয় করতে পারেনি।

ব্যাংকাররা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে বেশিরভাগ অর্থ ব্যয় করেছেন।

নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে তাদের সিএসআর তহবিলের ৩০ শতাংশ শিক্ষাখাতে, ৩০ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবায় ও ২০ শতাংশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন খাতে বিনিয়োগ করতে হবে।

এছাড়া তাদের সিএসআর তহবিলের পাঁচ শতাংশ প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টে পাঠাতে হবে।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো স্বাস্থ্যসেবা খাতে ২১৬ কোটি টাকা, শিক্ষা খাতে ৯০ কোটি টাকা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন খাতে ৪৯ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। বাকি ২১৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে অন্যান্য খাতে।

Comments

The Daily Star  | English

Hasnat warns media against airing Hasina’s speech

He further warned that there would be no rehabilitation of Hasina or fascism in Bangladesh

21m ago