‘ইলেকশন জমিদারতন্ত্র-পরিবারতন্ত্র-দলীয়তন্ত্রের সিলেকশনে পরিণত হয়েছে’

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, 'আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন হটিয়ে ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম আগ্রসর করে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে হবে।'

আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় খুলনার পিকচার প্যালেস মোড়ে সিপিবি আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, 'সংবিধানে সবার ''সম ভোটের'' কথা থাকলেও আজ নির্বাচন নির্বাসনে গেছে। জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে কোথাও নির্বাচন নেই। ইলেকশন জমিদারতন্ত্র-পরিবারতন্ত্র-দলীয়তন্ত্রের সিলেকশনে পরিণত হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'দেশ-বিদেশে খেটে খাওয়া ও গ্রাম-শহরের মানুষের শ্রমে দেশের অগ্রগতি হলেও লক্ষ কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। শাসকদের প্রশ্রয় ছাড়া এটা সম্ভব না।'

তিনি অবিলম্বে পাচারের টাকা ফেরত আনা ও ঋণ খেলাপিদের কাছ থেকে টাকা আদায় করার দাবি জানান।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, 'দেশ এক থাকলেও দুই অর্থনীতি বিরাজ করছে। তাই জিনিসপত্রের দাম বাড়লে কারো পৌষ মাস আর কারো সর্বনাশ।'

'এ অবস্থা থেকে দেশ বাঁচাতে চলমান দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে হবে। ব্যবস্থা বদল করতে হবে। এজন্য ভোটাধিকার,গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এর অন্যতম ধাপ হলো নির্দলীয় নিরেপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্দলীয় সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো ভাগাভাগির, প্রহসনের নির্বাচনে সিপিবি ও বামপন্থীরা অংশ নেবে না। যত কথাই বলা হোক না কেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই', যোগ করেন তিনি।

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, 'গণআন্দোলন,গণসংগ্রাম ছাড়া দেন-দরবার করে,বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে দাবি আদায় করা যাবে না। সরকারের নতজানু নীতি ও গণতন্ত্রহীনতার কারণে আজ সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী শক্তি দেশের ওপর নির্লজ্জ মাতবরি করছে। ভিসার ভয় দেখাচ্ছে।'

'এসব অপশক্তিকে' রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'গণতন্ত্রহীন ও দুঃশাসনের সুযোগে নানা অপশক্তি তৎপর হয়ে উঠেছে। এরা প্রচলিত ধারা বহাল রাখতে দেশকে দীর্ঘমেয়াদে অগণতান্ত্রিক ধারায় নিয়ে যেতে পারে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে রাজপথে গণসংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।'

রুহিন হোসেন প্রিন্স আধুনিকায়ন করে রাষ্ট্রীয় খাতে পাটকল না করে লিজ দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'শিল্প ধ্বংস, শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ না করা ও পাটকল লুটপাটের আয়োজন করার দায় থেকে সরকার মুক্তি পাবে না।'

সিপিবির খুলনা জেলা সভাপতি ডা. মনোজ দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সিপিবির কেন্দ্রীয় সদস্য খুলনা জেলার সাধারণ সম্পাদক এস এ রশিদ, শেখ আব্দুল হান্নান, মিজানুর রহমান বাবু, অশোক সরকার, এইচ এম শাহদাত, নিতাই গাইন, নূর আলম বক্তব্য দেন।

সমাবেশ শেষে লাল পতাকার এক মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

Comments

The Daily Star  | English

Public Service Act: Ordinance out amid Secretariat protests

The government last night issued an ordinance allowing dismissal of public servants for administrative disruptions within 14 days and without departmental proceedings.

8h ago