৩ দিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি ১৭৪ টন ইলিশ
তিন দিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৭৩ টন ৭০০ কেজি ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।
এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ৭৭ টন ১০০ কেজি, শনিবার ৪০ টন ১০০ কেজি এবং সোমবার ৫৬ টন ৫০০ কেজি ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।
ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ায় সরকার ২০১২ সাল থেকে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০১৯ সাল থেকে পূজা উপলক্ষে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়।
এ বছর ভারতে মোট ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
আগামী ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে দুর্গাপূজা উৎসব। দুর্গাপূজার আগে পদ্মার ইলিশ পেয়ে কলকাতার মানুষ খুশি।
ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র বলেন, 'দুই দেশের মধ্যে ভালো সম্পর্কের কারণে পূজার আগে আমরা বাংলাদেশি ইলিশ পেয়েছি। আমরা খুব খুশি। পূজায় অতিথিদের আপ্যায়ন করতে পারব।'
তবে, রপ্তানির কারণে দেশের বাজারে ইলিশ কম থাকায় বেড়েছে দাম। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা।
বর্তমানে দেশের বাজারে প্রতি কেজি ইলিশ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
যশোরের একটি বাজারে কথা হয় মাছ কিনতে আসা মশিয়ার রহমানের সঙ্গে। তিনি জানান, দামের কারণে এ বছর এখনো তিনি ইলিশ কিনতে পারেননি। ভেবেছিল সন্তানদের শখ মেটাতে একটি ছোট ইলিশ কিনবে। কিন্তু বাজারে এখন ইলিশের দাম আরও বেড়ে যাওয়ায় সেটা পারেননি।
ইলিশ বিক্রেতা শহীদ বলেন, 'রপ্তানির কারণে ইলিশের দাম এখন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আমরা বেশি দামে কিনছি, তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।'
বর্তমানে যশোরের বাজারগুলোতে এক কেজি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার টাকা কেজি দরে এবং ৫০০ গ্রাম আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকা দরে।
বেনাপোল মৎস্য অফিসের ফিশারিজ কোয়ারেন্টিন অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে সরকারের বিশেষ অনুমতি নিয়ে ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়েছে। দেশের ৭৯টি ইলিশ রপ্তানিকারক আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করবেন।
Comments