সরকারের আচরণ কী হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করবে আমাদের আচরণ: ফখরুল

শত প্ররোচনার মুখেও আমরা কিন্তু একেবারেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর | ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে একদফা দাবিতে চলা আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের আচরণ কী হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করবে আমাদের আচরণ।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, 'সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিচার বিভাগকে যেভাবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে এবং দুঃখজনক হলেও সত্য, নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত সরকারের যে গণতান্ত্রিক-অসাংবিধানিক আচরণ তাতে নিজেদেরকে টুল হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ করে দিয়েছে। যেটা আমি মনে করি, একটা দেশের জন্য, ভবিষ্যতের জন্য, রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।'

আমরা দেখতে পাচ্ছি, নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে এবং আওয়ামী লীগ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। গতকাল খবর বেরিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল রিপোর্ট জমা দিয়েছে যে, এখানে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। তাহলে নির্বাচন কি হবে, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির কী ভাবছে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি বলেন, 'আমরা বরাবরই বলে আসছি, আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচনই সম্ভব না। এটা পরীক্ষিত এবং তাদের অধীনে যে কখনো কোনো অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। জনগণ যে ভোট কেন্দ্রে যেয়ে ভোট দিতে পারে না এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ করার কিছু থাকে না।'

তিনি বলেন, 'এরপরও যখন কথা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী বিদেশে গিয়ে, বিদেশিদের কাছে গেলেই উনি কথা দেন; খুব সুন্দর, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, কোনো চিন্তার কারণ নেই। তখন ওরা প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল। সব ধরনের অংশীজনের সঙ্গে তারা কথা বলেছেন। কথা বলে তারা পরিষ্কার করে বলেছেন, এখানে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর কোনো পরিবেশ নেই। এটা প্রমাণিত হয়ে গেল ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের মতে। এই জিনিসটা নতুন করে বারবার বলে লাভ হচ্ছে না। কারণ ওরা তো কানে দিয়েছে তুলো।'

'অ্যাট দ্য কস্ট অব দ্য কান্ট্রি, অ্যাট দ্য কস্ট অব দ্য নেশন, কস্ট অব ডেমোক্রেসি একজন ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী রাখতেই হবে। এই যে বিষয়টা, এটাকে একটা জাতি যারা যুদ্ধ করেছে স্বাধীনতার জন্য, যারা লড়াই করেছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে, সেই জাতি কীভাবে মেনে নেবে? আমরা একটি রাজনৈতিক দল, আমরা তো একটা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করি। আমরা এর আগে সরকারে ছিলাম, বিরোধী দলেও ছিলাম; দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছি। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে এই জিনিসগুলো জনগণের সামনে বলা, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা—যে কাজটা আমরা করছি,' বলেন ফখরুল।

তিনি আরও বলেন, 'আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন, শত প্ররোচনার মুখেও আমরা কিন্তু একেবারেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। এত গ্রেপ্তার, মামলা, নির্যাতন-অত্যাচারের পরেও আমরা থাকছি। আমরা শেষ পর্যন্ত যাব। এটা নির্ভর করবে শেষ পরিণতি কী হবে। এটা নির্ভর করে সরকারের ওপর। সরকারের আচরণ কী হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করবে আমাদের আচরণ কী হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

4h ago