নরসিংদী

টেঁটা নিয়ে আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৭

নরসিংদীর ১ কেন্দ্রে ভোট বাতিল

নরসিংদী সদর উপজেলার চরদিঘলদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৭ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।

আজ সোমবার সকালে চরদীঘলদি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু মনসুর গ্রুপ ও বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের শাহীন গ্রুপের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আজিজ হাওলাদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন- নয়াকান্দির নাজিম উদ্দিন (৫২), নবাবপুরের মো. সবুজ (৩৫), কবির মিয়া (৪৪), শাকিল (২৫), এমদাদুল মিয়া (২৮), চরদিঘলদী গ্রামের আবদুল মিয়া (৪৩) ও মনোয়ার (৪৫)।

আহতরা সবাই টেঁটাবিদ্ধ এবং নরসিংদী সদর হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে, আহতরা কে কোন গ্রুপের সঙ্গে জড়িত তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

জানা যায়, মনসুর গ্রুপে রয়েছে ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন এবং ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য কালাম মিয়া। অপর অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন শাহীন। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ দীর্ঘ দিনের এবং থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে আসছে।

ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন শাহীন বলেন, 'কালাম মিয়ার লোকজন কিছু ব্যক্তির কাছে চাঁদা দাবি করছে। গতকাল সকালে চাঁদা না দেয়ায় বাজারে সবার সামনে বিএনপির লোকজন নিয়ে মারছে। পরে, এ নিয়ে আমি বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েছি। মূলত চাঁদাবাজি ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় আমার সম্পৃক্ততা নেই।'

তবে, স্থানীয়রা জানায় দেলোয়ার হোসেন শাহীন নরসিংদী মাধবধী থানা ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন এলাকা ছাড়া ছিলেন। আজ সোমবার ভোরে পুনরায় এলাকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন।

সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়নের সাবেক আওয়ামী রীগের সহসভাপতি আবু মুনসুর বলেন, 'আজ সকালে শাহীন ও তার লোকজন আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে এবং আমাদের লোকজনকে মেরে আহত করে এলাকা ছাড়া করেছে।'

নরসিংদী জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা  ডা. মাহমুদুল কবির বাশার (কমল) বলেন, সকালে টেঁটাবিদ্ধ অবস্থায় আমাদের এখানে ৭ জন আসেন। এর মধ্যে দুই জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। একজন এখানে ভর্তি আছে, বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

মাধবধী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল আজিজ বলেন, 'আজ সকাল ৬টার দিকে সংঘর্ষে জড়িয়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে আমরা জানতে পারি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে, তবে কোনো পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ এখনো পাইনি। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Technical education hit by teacher shortage, falling enrolment

Bangladesh’s technical education sector is facing a slow-burning crisis, shaped by a severe shortage of teachers, poor infrastructure, and steadily declining student interest.

10h ago