এবার এফডিএর অনুমোদন পেল এসকেএফের তৃতীয় ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট

গাজীপুরের টঙ্গীতে এসকেএফের ওষুধ তৈরির কারখানা। ছবি: এসকেএফের সৌজন্যে

বাংলাদেশের ওষুধশিল্প খাতের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের তৃতীয় ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট এবার যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) অনুমোদন পেয়েছে।

গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত এসকেএফের ফারাজ আইয়াজ হোসেন ভবনের স্টেরাইল ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট মর্যাদাপূর্ণ এই অনুমোদন পেয়েছে।

ইউএস এফডিএ বিশ্বে স্বাস্থ্য খাতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অন্যতম। এর আগে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এসকেএফের স্টেরাইল ইউনিট-১ এবং ওই বছরের মার্চে ওরাল সলিড ইউনিট এফডিএর অনুমোদন পায়।

বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানিগুলোর মধ্যে একমাত্র এসকেএফের তিনটি ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট মান নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে বিশ্বে সবচেয়ে কঠোর বলে বিবেচিত প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদন পেল।

প্রথম বাংলাদেশি কোম্পানি হিসেবে এসকেএফ ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে জটিল ইনজেকশনযোগ্য পণ্য রপ্তানি শুরু করেছে।

ট্রান্সকম লিমিটেডের গ্রুপ সিইও এবং এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সিমিন রহমান বলেন, 'এটি এসকেএফের জন্য অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। আমাদের এখন এফডিএ অনুমোদিত তিনটি ম্যানুফ্যাকচারিং সাইট রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, আমাদের দুটি ইনজেকটেবল ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট এফডিএ অনুমোদিত। আমরা ইতোমধ্যে ইনজেকটেবল পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করছি। বাংলাদেশি কোম্পানি হিসেবে আমরা এখন ইনজেকটেবল পণ্যের মাধ্যমে আমাদের শক্তি ও সক্ষমতা প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছি।'

তিনি আরও বলেন, 'রোগীর চাহিদা মেটাতে এসকেএফের সব প্রচেষ্টার অগ্রভাগে রয়েছে গুণগত মান রক্ষার দ্ব্যর্থহীন প্রতিশ্রুতি। এই স্বীকৃতি বিশ্বমানের পণ্য নিয়ে বৈশ্বিক পর্যায়ে আমাদের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে।'

ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের এমএইচআরএ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএমপি, ব্রাজিলের এনভিসা, অস্ট্রেলিয়ার টিজিএ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সাহপ্রার মতো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অনুমোদন পেয়েছে এসকেএফ।

এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ট্রান্সকম গ্রুপের একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান। এসকেএফের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুর রহমান, যিনি সারাবিশ্বে নৈতিকতা ও সৎ ব্যবসায়ী হিসেবে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এসকেএফ ৩৪ বছর ধরে ওষুধ উৎপাদন করে আসছে এবং বর্তমানে বিশ্বের ৬টি মহাদেশের বিভিন্ন দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে।

Comments

The Daily Star  | English
sirens sound in israel after iran missile attack

Iran fires new missile salvo at Israel: state TV

Trump to decide within two weeks on possible military involvement

21h ago