হাই-টেক বায়ো পণ্য রপ্তানি চুক্তি স্বাক্ষর করল এসকেএফ
এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড হাই-টেক বায়োলজিক্যাল পণ্য রপ্তানির জন্য একটি শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক বায়োটেক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে।
আজ ১৬ নভেম্বর ঢাকায় এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এর মাধ্যমে হাই-টেক বায়োলজিক্যাল ভায়েল সরবরাহে বৈশ্বিক অঙ্গনে প্রবেশের মাইলফলক অর্জন করেছে এসকেএফ।
এই চুক্তির আওতায় এসকেএফ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বায়োলজিক্যাল ভায়েল রপ্তানি করবে। বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে বছরে লাখ লাখ বায়োলজিক্যাল ভায়েল সরবরাহ করবে কোম্পানিটি। এটি বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের জন্য একটি মাইলফলক, কারণ দেশের যেকোনো ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় বার্ষিক রপ্তানি চুক্তি।
ট্রান্সকম লিমিটেডের গ্রুপ সিইও এবং এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সিমিন রহমান বলেন, 'বায়োলজিক্যাল ভায়েল রপ্তানি কেবল এসকেএফের জন্য মাইলফলক নয়, আমি বিশ্বাস করি, এটি লাখ লাখ রোগীকে সেবা দেওয়ার জন্য নেওয়া একটি মহৎ উদ্যোগ।'
তিনি আরও বলেন, 'এটি দেশের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। কারণ এই অর্জন বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের অগ্রগতিকে তুলে ধরেছে যে, রপ্তানির জন্য হাই-টেক বায়োলজিক্যাল পণ্য এখন বাংলাদেশে তৈরি করা হচ্ছে।'
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, 'আমরা শুধু জেনেরিক নয়, হাই-টেক পণ্যও রপ্তানি করছি। হাই-টেক বায়োলজিক্যাল পণ্য বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হবে, যা দেশের ইতিহাসে একটি মাইলফলক।'
জাতীয় অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ খান বলেন, 'এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যেসব বায়োলজিক্যাল পণ্য রপ্তানি হবে, তা অবশ্যই মানবজাতির জন্য উপকারী হবে।'
২০১২ সাল থেকে এসকেএফ বাংলাদেশের বাজারের শীর্ষস্থানীয় বায়োটেক কোম্পানির জন্য ডেডিকেটেড ফ্যাসিলিটি থেকে বায়োলজিক্যাল পণ্য উৎপাদন করে আসছে। ফ্যাসিলিটিটি জিএমপি মানের সর্বোচ্চ স্তর বজায় রেখে বিশ্বমানের বায়োটেক পণ্য উৎপাদন করতে সক্ষম আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি দিয়ে সজ্জিত। চাহিদা পূরণে এসকেএফ আরও উৎপাদন ক্ষমতা সম্প্রসারণ করবে।
ইউএস এফডিএ ছাড়াও এর আগে যুক্তরাজ্যের এমএইচআরএ, ইইউ জিএমপি, ব্রাজিলের এএনভিসা ও অস্ট্রেলিয়ার টিজি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এসএএইচপিআরএ এর মতো ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে এসকেএফ। প্রতিটি ক্ষেত্রে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ এসকেএফকে এমন স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।
Comments