বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক এখনো অর্জিত হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী

তবে চলতি অর্থবছরে খাদ্য ঘাটতির সম্ভাবনা নেই বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী
সাধন চন্দ্র মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত

চলতি বোরো মৌসুমে এখনো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক এখনো অর্জিত হয়নি বলে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন। 

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, 'গত ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৯৯ হাজার ৬৮৬ লাখ মেট্রিক টন ধান এবং ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩৮ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৪ লাখ মেট্রিক টন নির্ধারণ করেছে সরকার।'

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম সরওয়ার জাহানের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, বোরো মৌসুমে ৩০ টাকা কেজিতে ধান এবং ৪৪ টাকা কেজিতে সেদ্ধ চাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

৩১ আগস্টের মধ্যে ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান এবং সাড়ে ১৪ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। পরে সময় ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, 'এর মধ্যে গত ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪ লাখ মেট্রিক টনের মধ্যে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৬৮৬ মেট্রিক টন এবং সাড়ে ১৪ লাখের মধ্যে ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩৮ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে।'

আরেক প্রশ্নের জবাবে সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, দেশে বর্তমানে খাদ্য ঘাটতি নেই। দেশের মোট জনসংখ্যার জন্য বছরে ২ কোটি ১৮ দশমিক ৪ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য প্রয়োজন। অন্যদিকে গত অর্থবছরে দেশে উৎপাদন হয়েছে ৪ কোটি ২ লাখ ৯ হাজার মেট্রিক টন। 

তবে চলতি অর্থবছরে খাদ্য ঘাটতির সম্ভাবনা নেই বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের সরকারি গুদামে ১৮ লাখ ৫৪ হাজার ৪১০ মেট্রিক টন খাবার মজুদ ছিল।

ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র জানান, ৩ বছরে (২০২২-২৩ থেকে ২০২৪-২৫) মধ্যে ভোজ্যতেলের আমদানি প্রায় ৪০ শতাংশ কমিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। সরিষার আবাদ ৬ লাখ ১০ হাজার হেক্টর থেকে ৮ লাখ ১৮ হাজার হেক্টরে উন্নীত করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

13h ago