এশিয়া কাপ ২০২৩

হেরেও সবার প্রশংসা পাচ্ছে নেপাল

নেপাল বনাম ভারত এশিয়া কাপ

পাকিস্তানের কাছে ২৩৮ রানে হারার পর ভারতের সঙ্গে ১০ উইকেটে হেরেছে নেপাল। এশিয়া কাপ থেকে সবার আগে বিদায় নিয়েছে হিমালয়ের দেশ। কিন্তু বড় দুই হারের পরও আইসিসি সহযোগী সদস্য দেশটি প্রশংসা পাচ্ছে। ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা নেপালের আগামী দেখছেন অনেক উজ্জ্বল।

মঙ্গলবার পাল্লেকেলেতে আগে ব্যাট করে ৪৯তম ওভারে ২৩০ রান করে অলআউট হয় নেপাল। বৃষ্টিতে পরে ডিএলএস মেথডে ভারত ২৩ ওভারে  ১৪৫ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যায় ১৭ বল আগে।

দৃশ্যত কোন লড়াই হয়নি, হওয়ার কথাও না। তবে কিছু কিছু পারফরম্যান্স দিয়ে নেপাল ঠিকই দেখিয়েছে নিজেদের সম্ভাবনা। বিশেষ করে ভারতের মতো প্রথম সারির দলের বিপক্ষে ২৩০ রান করাকে বড় কিছু মনে করছেন দীনেশ কার্তিক, ওয়াসিম জাফররা।

নেপালের আসিফ শেখ করেন ৫৮, কুশল ব্রুটেল করেন ২৫ বলে ৩৮। আটে নেমে ৫৬ বলে ৪৮ ক্রেন সোমপাল কামি। এদের খেলার ধরণ বেশ নজর কেড়েছে। পরে পেস বোলিংয়ে নজর কাড়েন কারান কেসি। উইকেট না পেলেও রোহিত শর্মা, শুভমান গিলদের সুয়িংয়ে বেশ কবার পরাস্ত করেন।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে ভালো না করলেও বোলিংয়ে শুরুতে বেশ ঝলক দেখায় নেপালিজরা। ১২৪ রানে পাকিস্তানের ৪ উইকেট তুলে চাপে ফেলে দিয়েছিল। বাবর আজম, ইফতেখার আহমেদের সেঞ্চুরিতে সেই চাপ যদিও পরে দূর করে পাকিস্তান।

ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ আকাশ চোপড়া তার এক্স একাউন্টে টুইট করে বলেন, 'ভারতের উচিত নেপালের ক্রিকেটকে তুলে ধরা, দায়িত্ব হিসেবে কাজটা করা উচিত। 'এ' দল পাঠানো দরকার নেপালে।  ভারতের ঘরোয়া কাঠামোতে তাদের যুক্ত করা দরকার। নেপালের ক্রিকেট প্যাশন অতুলনীয় এবং আমরা দেখলাম তাদের সম্ভাবনাও আছে।'

ক্রিকবাজের আলোচনায় কার্তিক বলেন, 'ফলাফল দিয়ে বিচার করলে হবে না। নেপাল দেখিয়েছে তাদের যথেষ্ট দক্ষতা আছে। কারান কেসি, ললিত রাজবংশিরা খুবই ভালো মানের বোলার। তাদের মধ্যে প্যাশন আছে। সুযোগ সুবিধা পেলে তারা এগিয়ে যাবে। কে জানে তারা হয়ত আগামীর বাংলাদেশ কিংবা আফগানিস্তান হতে পারে। '

ওয়াসিম জাফরও ইএসপিএন ক্রিকইনফোর আলোচনায় নেপালিদের বাহবা দেন, 'তারা খুব ভালো করেছে। ভারতের বিপক্ষে ৪৯ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করা অনেক ভালো পারফরম্যান্স। আসিফ, কুশাল এবং অন্যরা দেখিয়েছে তাদের সামর্থ্য আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

BB keeps policy rate unchanged 

BB said the 10 percent policy rate would remain in place for the July-December period

54m ago