এশিয়া কাপ লাইভ আপডেট

আফগানিস্তানকে উড়িয়ে সুপার ফোরে বাংলাদেশ

ছবি: এএফপি

মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে বড় পুঁজি পেল বাংলাদেশ। তাদের গড়ে দেওয়া শক্ত মঞ্চে জ্বলে উঠলেন তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। এই দুই পেসারের তোপে লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে থামল আফগানিস্তান। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে দুর্দান্ত জয়ে টাইগাররা উঠল এশিয়া কাপের সুপার ফোরে।

রোববার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আফগানদের ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান তোলে তারা। জবাবে ৩৩ বল বাকি থাকতে ২৪৫ রানে অলআউট হয় আফগানরা।

ডানহাতি পেসার তাসকিন ৪৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ছিলেন সবচেয়ে সফল। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ৩৬ রানে শিকার করেন ৩ উইকেট। এর আগে মিরাজ ১১৯ বলে ১১২ ও শান্ত ১০৫ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন।

এই জয়ে আসরের সুপার ফোরের টিকিট পেয়েছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দল। কারণ নেট রান রেট বাড়িয়ে নিয়েছে তারা।

দুই ম্যাচে ২ পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশের নেট রান রেট +০.৩৭৩। 'বি' গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা শ্রীলঙ্কার পয়েন্টও ২। তাদের নেট রান রেট +০.৯৫১। পয়েন্টের খাতা না খোলা আফগানিস্তান নেট রান রেটে অনেক পিছিয়ে (-১.৭৮০)।

আগামী মঙ্গলবার লাহোরেই মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। ওই লড়াইয়ের পরই জানা যাবে 'বি' গ্রুপ থেকে কারা সঙ্গী হচ্ছে বাংলাদেশের।

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাংলাদেশ সুপার ফোরে যাবে নেট রান রেটের কোনো হিসাবনিকাশ ছাড়াই। আফগানিস্তান অল্প ব্যবধানে জিতলেও তাদের কোনো ফায়দা হবে না। কারণ নেট রান রেটে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পেছনে থাকবে তারা। আর আফগানরা বড় ব্যবধানে জিতলে লঙ্কানদের রান রেট চলে আসবে বাংলাদেশের নিচে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

আফগানিস্তান: ৪৪.৩ ওভারে ২৪৫ (গুরবাজ ১, ইব্রাহিম ৭৫, রহমত ৩৩, হাশমতুল্লাহ ৫১, নাজিবুল্লাহ ১৭, নবি ৩, নাইব ১৫, জানাত ১, রশিদ ২৪, মুজিব ৪, ফারুকি ১*; তাসকিন ৪/৪৪, শরিফুল ৩/৩৬, মাহমুদ ১/৬১, সাকিব ০/৪৪, আফিফ ০/৬, মিরাজ ১/৪১, শামীম ০/১০)।

একই ওভারে তাসকিনের ঝুলিতে মুজিব-রশিদ

৪৫তম ওভারে মুজিব উর রহমান ও রশিদ খানকে তুলে নিয়ে আফগানিস্তানকে অলআউট করে দিলেন তাসকিন আহমেদ। অথচ তাসকিনের প্রথম বলে ছক্কা মেরেছিলেন মুজিব। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। তিনি হলেন হিট উইকেট। পপিং ক্রিজের এত ভেতরে ছিলেন যে তার পা আঘাত করে স্টাম্পে। ৮ বলে ৪ রান করেন মুজিব। এক বলের ব্যবধানে রশিদকে ঝুলিতে ঢোকালেন তাসকিন। ১৫ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৪ রানের ক্যামিও খেলে রশিদ ক্যাচ দিলেন সাকিব আল হাসানের হাতে। উল্লাসে মাতল বাংলাদেশ।

জানাত রানআউট, জয়ের কাছে বাংলাদেশ

টিকতে পারলেন না করিম জানাত। নন-স্ট্রাইক প্রান্তে তিনি রানআউট হলেন বদলি ফিল্ডার এনামুল হক বিজয়ের সরাসরি থ্রোতে। ১ বল খেলে ১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ফলে স্কোরবোর্ডে সবশেষ ২৮ রান যোগ করতে ৫ উইকেট হারাল আফগানরা।

আক্রমণে ফিরে নবিকে বিদায় করলেন তাসকিন

ফের পরপর দুই ওভারে ২ উইকেট তুলে নিল বাংলাদেশ। ফলে জয়ের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হলো তাদের। এবার তাসকিন আহমেদ আক্রমণে ফিরে পেলেন উইকেটের স্বাদ। পুল করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিলেন মোহাম্মদ নবি। ৬ বলে তার সংগ্রহ ৩ রান।

নাইবকেও ফেরালেন শরিফুল

ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হজম করলেন শরিফুল ইসলাম। তৃতীয় ডেলিভারিতে এলো চার। তবে শেষ হাসিটা হাসলেন তিনিই। বোল্ড করে দিলেন গুলবদিন নাইবকে। ১৩ বলে নাইবের সংগ্রহ ১৫ রান। ১০ ওভার বাকি থাকতে ষষ্ঠ উইকেট হারাল আফগানরা। জয়ের জন্য ৬০ বলে ১২৩ রান দরকার তাদের। বাংলাদেশের চাওয়া ৪ উইকেট।

শরিফুলের দ্বিতীয় শিকার হাশমতুল্লাহ

পরপর দুই ওভারে উইকেট প্রাপ্তির উল্লাস করল বাংলাদেশ। ৮ বলের মধ্যে সাজঘরে ফিরলেন দুই থিতু হওয়া ব্যাটার হাশমতুল্লাহ শহিদি ও নাজিবুল্লাহ জাদরান। এতে যে কিছুটা চাপ তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের ওপর, তা আলগা হয়ে গেল। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের ডেলিভারি উড়িয়ে মারার চেষ্টায় ঠিকঠাক সংযোগ করতে পারেননি হাশমতুল্লাহ। উপরে উঠে যাওয়া বল থার্ড ম্যানে লুফে নেন হাসান মাহমুদ। ৬০ বলে ৫১ রানে থামেন আফগান দলনেতা।

নাজিবুল্লাহকে সাজঘরে পাঠালেন মিরাজ

হাশমতুল্লাহ শহিদি ও নাজিবুল্লাহ জাদরান মিলে আফগানিস্তানকে দিলেন ইনিংসের তৃতীয় পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি। এই জুটিতে রানও আসছিল দ্রুতগতিতে। স্লগ করতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়া নাজিবুল্লাহকে বোল্ড করে ৫২ বলে ৬২ রানের জুটি থামালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৫ বলে ২ চারে তার রান ১৭। ৩৭ ওভার শেষে আফগানদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৯৬ রান।

হাফসেঞ্চুরি করলেন হাশমতুল্লাহ

অধিনায়ক হিসেবে হাশমতুল্লাহ শহিদির কাঁধে রয়েছে বাড়তি দায়িত্ব। সেটা ভালমতোই পালন করার চেষ্টা করছেন তিনি। ইব্রাহিম জাদরানের পর তিনিও তুলে নিলেন ফিফটি। এই মাইলফলকে পৌঁছাতে তার লাগল ৫৪ বল। তার ইনিংসে চার ছয়টি। শুরুটা ধীরগতির হলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণাত্মক হয়েছেন তিনি।

রান তোলার গতি বাড়াচ্ছে আফগানরা

ওভারপ্রতি রানের চাহিদা দশের বেশি। জয়ের জন্য ১৫ ওভারে আফগানিস্তানের চাই আরও ১৫১ রান। হাতে রয়েছে ৭ উইকেট। এমন পরিস্থিতিতে রান তোলার গতি বাড়াচ্ছে তারা। সবশেষ ৬ ওভারে দলটি তুলেছে ৪৪ রান। হারায়নি কোনো উইকেট। ৩৫ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৮৪ রান। হাশমতুল্লাহ শহিদি ৫২ বলে ৪৯ ও নাজিবুল্লাহ জাদরান ২০ বলে ১৬ রানে খেলছেন।

মুশফিকের দারুণ ক্যাচে ইব্রাহিমের বিদায়

ইব্রাহিম জাদরান সচল রাখছিলেন আফগানিস্তানের রানের চাকা। বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হওয়ার মূল কাজটাও করছিলেন তিনি। নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং করায় তাকে ফেরানোর উপায় খুঁজে বের করা হয়ে পড়েছিল কঠিন। অবশেষে তাকে আউট করতে পারল টাইগাররা। হাসান মাহমুদের লেংথ ডেলিভারিতে এজড হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন ইব্রাহিম। ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণভাবে তা লুফে নিলেন মুশফিকুর রহিম। ৭৪ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে ইব্রাহিম করলেন ৭৫ রান। তার বিদায়ে ভাঙল ৫৮ বলে ৫২ রানের জুটি। ২৮ ওভারে শেষে আফগানদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৩৮ রান। ক্রিজে হাশমতুল্লাহ শহিদি ২৯ বলে ২৩ ও নাজিবুল্লাহ জাদরান ১ বলে ১ রানে খেলছেন।

ইব্রাহিমের ফিফটি

ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শুরু থেকে ঝলমলে সময় কাটাচ্ছেন ২১ বছর বয়সী ইব্রাহিম জাদরান। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে এই ওপেনার তুলে নিলেন আরও একটি হাফসেঞ্চুরি। ব্যক্তিগত মাইলফলকে পৌঁছাতে তাকে খেলতে হলো ৫২ বল। তার ইনিংসে বাউন্ডারি আটটি। বড় লক্ষ্য তাড়ার অভিযানে ইব্রাহিমের টিকে থাকার চাওয়া থাকবে আফগানিস্তানের।

রহমতকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন তাসকিন 

বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠা জুটি ভাঙলেন তাসকিন আহমেদ। দারুণ ডেলিভারিতে এই পেসার বোল্ড করে দিলেন রহমত শাহকে। অফ কাটারে পরাস্ত হয়ে স্টাম্প হারালেন রহমত। ৫৭ বলে ৫ চারে ৩৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। থামল ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে তার ৯৭ বলে ৭৮ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। ১৮ ওভার শেষে আফগানিস্তানের রান ২ উইকেটে ৭৯। ক্রিজে ৪৩ বলে ৪৩ রানে থাকা ইব্রাহিমের সঙ্গী অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শহিদি।

ইব্রাহিম-রহমতের ব্যাটে আফগানিস্তানের প্রতিরোধ

দলীয় ১ রানে উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে জুটি গড়ে আফগানিস্তানকে এগিয়ে নিচ্ছেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ। তাদেরকে তেমন কোনো পরীক্ষায় ফেলতে পারছেন বাংলাদেশের বোলাররা। ইব্রাহিম দ্রুত গতিতে রান তুলছেন। মন্থর শুরুর পর হাত খুলতে শুরু করেছেন রহমতও। তাদের জুটির রান ইতোমধ্যে ছাড়িয়েছে পঞ্চাশ। ১৫ ওভার শেষে আফগানদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৬৭ রান। ইব্রাহিম ৩৭ বলে ৩৯ ও রহমত ৪৬ বলে ২৭ রানে ক্রিজে আছেন।

গুরবাজকে দ্রুত বিদায় করলেন শরিফুল

রহমানউল্লাহ গুরবাজকে টিকতে দিলেন না শরিফুল ইসলাম। ইনিংসের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারেই এই বাঁহাতি পেসার এলবিডব্লিউ করলেন আফগানিস্তানের বিপজ্জনক ওপেনারকে। ৭ বল খেলে ১ রান করেন গুরবাজ। মিডল ও লেগ স্টাম্পের মাঝামাঝি পড়ে কিছুটা ভেতরের দিকে ঢোকা বলে পরাস্ত হন তিনি। রিভিউ অবশ্য নিয়েছিলেন। তবে কাজ হয়নি। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, লেগ স্টাম্প উপড়ে যেত। এতে বাংলাদেশের বোলিংয়ের শুরুটা হলো ভালো।

মিরাজ-শান্তর সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের রেকর্ড পুঁজি

লাহোরের রানে ভরপুর উইকেটের সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং নিয়ে মেইক শিফট ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও চারে নামা নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রানের বিশাল পুঁজি পেয়েছে। দলের হয়ে শেষ দিকে ঝড় তুলে অবদান রেখেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। বিদেশের মাঠে ওয়ানডেতে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

১১৯ বলে সর্বোচ্চ ১১২ রান আসে মিরাজে ব্যাটে। শান্ত ১০৫ বলে করেন ১০৪ রান। সাকিব মাত্র ১৮ বলে অপরাজিত থাকেন ৩২ রানে। মুশফিক ১৫ বলে করে যান ২৫ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩৪/৫ (নাঈম ২৮, মিরাজ ১১২ (আহত অবসর), হৃদয় ০, শান্ত ১০৪, মুশফিক ২৫, সাকিব ৩২*, শামীম ১০, আফিফ ৪*; ফারুকি ০/৫৩, মুজিব ১/৬২, নাইব ১/৫৮, জানাত ০/৩৯, নবি ০/৫০, রশিদ ০/৬৬)।

ছক্কার পর শামীম রান আউট

ওয়ানডে নিজের প্রথম বলেই ছক্কা মেরেছিলেন শামীম পাটোয়ারি। তবে শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলেন না। ৫ বলে ১০ রান করে রান আউট হয়েছেন তিনি। ৪৯ ওভারে ৩২৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। 

রান আউটে থামলেন মুশফিক 

এসেই ঝড় তুলেছিলেন মুশফিকুর রহিম। তার ব্যাটে মিটছিল দ্রুত রান বাড়ানোর আশা। তবে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটে কাটা পড়েছেন তিনি। ১৫ বলে ২৫ রান করেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। ৪৭তম ওভারে ২৯৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। 

সেঞ্চুরির পর রান আউটে বিদায় শান্তর 

সেঞ্চুরির পরও খুব বেশি এগুতে পারলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। রান নিতে গিয়ে স্লিপ খেয়ে পড়ে রান আউটের শিকার হয়েছেন তিনি। ১০৫ বলে ১০৪ রান করে ফিরে গেছেন শান্ত। ৪৫তম ওভার ২৭৮ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। 

মিরাজের পর শান্তর সেঞ্চুরি, বড় রানের দিকে বাংলাদেশ

নিজের দুর্বার ছন্দ ধরে রাখলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আগের ম্যাচে ১১ রানের জন্য আক্ষেপে পুড়েছিলেন। এবার ভাসলেন সেঞ্চুরির আনন্দে। আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করে ১০১ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন তিনি। ওয়ানডেতে শান্তর এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এই সেঞ্চুরি পেতে ৯ চারের সঙ্গে ২ ছক্কা মারেন বাঁহাতি ব্যাটার। সেঞ্চুরি করে দলকে বড় রানের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ৪৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ২৬২।  

এদিকে মেহেদী মিরাজ সেঞ্চুরির পর ছক্কা মেরে হাতের ক্রাম্প হয়ে বেরিয়ে গেছেন। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১১৯ বলে ১১২ রান। তৃতীয় উইকেট জুটি অবিচ্ছিন্ন থেকেছে ১৯৪ রানে। ওয়ানডেতে এই নিয়ে পাঁচবার বাংলাদেশের দুই ব্যাটার এক ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন

Mehidy Hasan Miraz

মিরাজের দারুণ সেঞ্চুরি, বড় রানের দিকে বাংলাদেশ 

মেইক শিফট ওপেনার হিসেবে নেমে দারুণ ঝলক দেখালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আফগানিস্তানের বোলিং সামলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি।  ১১৫ বলে ৬ চার, ২ ছক্কায় তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার। এশিয়া কাপের আসরে বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি পেলেন মিরাজ।  নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে জুটিতে ১৭৬ রান এসে গেছে এরমধ্যে। ৪১ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ২৩৯। 

ছবি: বিসিবি

মিরাজের পর শান্তর ফিফটি, এগুচ্ছে বাংলাদেশ 

আগের ম্যাচে বাকিদের ব্যর্থতার ভিড়ে একা নিজেকে আলাদা করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ছন্দে থাকা বাঁহাতি ব্যাটার টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পেলেন ফিফটি। এদিন নিজের পছন্দের তিনের বদলে চারে ক্রিজে আসেন তিনি। দ্রুত বাড়াতে থাকেন রান। ইতিবাচক মেজাজে ছক্কা মেরে ৫৭ বলে ফিফটি পেরিয়ে ক্রিজে আছেন শান্ত। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে জুটিতে এরমধ্যে এসে গেছে ১৬১  রান।   ৩৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ২৪২।      

ওপেনিংয়ে নেমে মিরাজের ফিফটি

মেইক শিফট ওপেনার হিসেবে এর আগেও একবার ওপেন করতে নেমেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ২০১৮ এশিয়া কাপের ফাইনালে লিটন দাসের সঙ্গে শতরানের জুটি হয়েছিল তার। সেদিন ফিফটি না এলেও এবার আবার ওপেন করতে নেমে ফিফটির দেখা পেলেন মিরাজ। ৬০ রানের জুটির পর নাঈম শেখ আউট হয়ে গেলেও টিকে আছেন মিরাজ। 

৬৫ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি পুরো করেন ডানহাতি ব্যাটার।  ৬৮ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। ৪২ বলে ৩৫ করে তার সঙ্গে ৬৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১২৯। 
 

শান্ত-মিরাজের ব্যাটে এগুচ্ছে বাংলাদেশ

ভালো শুরুর পর দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে বিরূপ পরিস্থিতিতে দলের রানের গতি ঠিক রাখছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে জুটির পথে আছেন তিনি। এই দুজনের ইতিবাচক অ্যাপ্রোচে ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১০৩। মিরাজ ৫১ বলে ৩২ ও শান্ত ৩৫ বলে ৩০ রান নিয়ে খেলছেন।

নাঈমের পর ফিরলেন হৃদয়ও

তিনে নাজমুল হোসেন শান্তর বদলে নামানো হয়েছিল তাওহিদ হৃদয়কে। এই তরুণ এশিয়া কাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ। গুলবদিন নাইবের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন কোন রান না করেই। বিনা উইকেটে ৬০ থেকে ৬৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। 

ভালো শুরুর পর নাঈমের বিদায়

মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে দলকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন নাঈম শেখ। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি মারার পর আরও চারটি চার আসে তার ব্যাটে। আরেক পাশে মিরাজও মেলাচ্ছিলেন তাল। বড় কিছুর আভাস দিতে থাকা নাঈম থিতু হয়েও টিকতে পারলেন না শেষ পর্যন্ত। মুজিব উর রহমানের গুগলি পড়তে ভুল করে বোল্ড হয়েছেন ৩২ বলে ২৮ রান করে। ১০ ওভারে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৬০। বাঁহাতি নাঈম আউট হওয়ায় নাজমুল হোসেন শান্তর বদলে তিনে পাঠানো হয়েছে ডানহাতি তাওহিদ হৃদয়কে। 

বাংলাদেশের উড়ন্ত শুরু

ডান-বাম সমন্বয় আনতে ওপেনিংয়ে আবারও এলো বদল। নাঈম শেখের সঙ্গে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো মেইক শিফট ওপেনার হিসেবে নামলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই দুজন শুরুটা করেছেন বেশ ভালো। দুজনেই খেলছেন ইতিবাচক মেজাজে।

নয় ওভারে বাংলাদেশের রান ৫৪। ৩১ বলে ২৮ রান নিয়ে খেলছেন নাঈম। ২৩ বলে ১৬ রান করে ক্রিজে মিরাজ।

Shamim Hossain Patwari
ছবি:বিসিবি

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, শামীমের অভিষেক

আফগানিস্তানের বিপক্ষে মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার কাছে হারা ম্যাচ থেকে একাদশে তিনটি বদল আনার কথা জানিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

রোববার লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামের রানে ভরা উইকেটে  আফগান অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শহিদিও বলছেন, টস জিতলে ব্যাটিং বেছে নিতেন তারা। 

জিততেই হবে এমন সমীকরণে একাদশে বড়সড় রদ-বদল এনেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেকে শূন্য রান করা তানজিদ হাসান তামিম জায়গা হারিয়েছেন, তার জায়গায় একাদশে নেওয়া হয়েছে আফিফ হোসেন ধ্রুবকে। শেখ মেহেদী হাসানের জায়গায় অভিষেক হয়েছে শামীম হোসেন পাটোয়ারির। পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকে বাদ দিয়ে খেলানো হচ্ছে শরিফুল ইসলামকে। শামীম ও আফিফ একাদশে আসায় ব্যাটারদের মধ্যে বাঁহাতি আরেকজন বাড়ল। 

আফগান একাদশ অনুমিতই। সর্বশেষ খেলা ওয়ানডে থেকে কোন বদল আনেনি তারা। 

বাংলাদেশ একাদশ:  নাঈম শেখ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, শামীম পাটোয়ারি, আফিফ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম। 

আফগানিস্তান একাদশ: রাহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাসমতুল্লাহ শহিদি, নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবি, গুলবদিন নাইব, করিম জানাত, রশিদ খান, ফজল হক ফারুকি, মুজিব উর রহমান। 

বাংলাদেশের বাঁচা-মরার লড়াই

হারলেই ধরতে হবে দেশে ফেরার ফ্লাইট। জিতলেও অপেক্ষায় থাকতে হবে নানা সমীকরণের। এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। চোট ও অসুস্থতায় সেরা দল পাওয়া না গেলেও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

Comments

The Daily Star  | English

$14b lost to capital flight a year during AL years

Bangladesh has lost around $14 billion a year on average to capital flight during the Awami League’s 15-year tenure, according to the draft report of the committee preparing a white paper on the economy.

9h ago