আজ সকালের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
যান চলাচল শুরু হয়েছে ঢাকার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে। গতকাল উদ্বোধনের পর আজ রোববার ভোর ৬টা থেকে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে এক্সপ্রেসওয়ে।
সকাল থেকে দেখা যায়, নির্ধারিত টোল দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পার হচ্ছে গাড়ি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে গাড়ির সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করছেন টোল প্লাজার কর্মীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, প্রথম দিন বলে এখনও খুব বেশি গাড়ি টোল প্লাজা পার হয়নি। আশা করছি বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং আগামী দিনে গাড়ির সংখ্যা বাড়বে।
যারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পার হচ্ছেন গাড়ি নিয়ে তারা জানিয়েছেন খুব কম সময়ে রাস্তা পার হচ্ছেন তারা। তানভীর আহমেদ নামে একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয় বনানীতে। তিনি বলেন, এয়ারপোর্ট থেকে বনানীতে নিয়মিত যাতায়াত করতে হয় তাকে। প্রায় প্রতিদিন ১ থেকে দেড় ঘণ্টা লাগে এই পথ পাড়ি দিতে। কখনো কখনো তারচেয়েও বেশি। আজ চার ভাগের এক ভাগ সময়ে পৌঁছে গেছি।
তিনি জানান, রাস্তায় যানজটের হয়রানি না থাকায় খুব ভালো লেগেছে।
তবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচের রাস্তায় ছিল গাড়ির তীব্র চাপ। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে গাড়ি কেন আসছে না জানতে চাইলে এক বাস কন্ডাকটর মো. আনিস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখনও পুরা রাস্তা খোলে নাই। নামার জায়গা ঠিক না হওয়ায় বাস নিয়ে উঠতে পারতেছি না।'
নিচে যানজট নিয়ে এক পথচারী খলিলুর রহমান বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে অনেক গাড়ির চাপ। মনে হচ্ছে আজকে যানজট বেশি।
এদিকে, এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অনেক মোটরসাইকেল আরোহীকে এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার চেষ্টা করতে দেখা যায়। যদিও কর্তৃপক্ষের নিষেধে মোটরসাইকেল নিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের।
গতকাল এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পুরো উড়ালসড়কে ৩১টি স্থান দিয়ে যানবাহন ওঠানামা (র্যাম্প) করার ব্যবস্থা থাকছে। কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশে ওঠা নামার জন্য ১৫টি র্যাম্প থাকবে। এর মধ্যে ১৩টি র্যাম্প যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত থাকছে।
এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ৩ চাকার যান ও বাইসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। অন্যান্য যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে।
Comments