বাবর-ইফতিখারের সেঞ্চুরি, এশিয়া কাপের শুরুতেই দুই রেকর্ড
ফর্ম বজায় রেখে অধিনায়ক বাবর আজম তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। এরপর উত্তাল হয়ে উঠল তার ব্যাট। অন্যপ্রান্তে ইফতিখার আহমেদও করলেন বিধ্বংসী সেঞ্চুরি। তাদের কল্যাণে নেপালের বিপক্ষে রানের পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান, হলো দুটি রেকর্ডও।
বুধবার মুলতানে ২০২৩ সালের এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করেছে পাকিস্তান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪২ রান তুলেছে তারা। শতরান হাঁকানোর পথে বাবর ও ইফতিখার কচুকাটা করেন তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ নেপালের বোলারদের।
তিনে নামা বাবর ১৫১ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ ওভারে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে ১৩১ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ১৪টি চার ও চারটি ছক্কা। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের কোনো ব্যাটারের এটি সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড। আগের কীর্তিটি ছিল ইউনিস খানের দখলে। ২০০৪ সালে কলম্বোতে হংকংয়ের বিপক্ষে ১২২ বলে ১৪৪ রান করেছিলেন তিনি।
১০৪ ওয়ানডের ১০২ ইনিংসে বাবরের এটি ১৯তম সেঞ্চুরি। পাকিস্তানের পক্ষে এই সংস্করণে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল একজনের। সাবেক ওপেনার সাঈদ আনোয়ার ২৪৭ ম্যাচে ২০টি সেঞ্চুরি নিয়ে আছেন শীর্ষে।
৭২ বলে ফিফটি স্পর্শ করা বাবর তিন অঙ্কে পৌঁছান ১০৯ বলে। এরপর আগ্রাসী রূপ ধারণ করেন তিনি। পরের ফিফটি ছুঁয়ে ফেলতে তার লাগে মাত্র ২০ বল। তবে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেননি তিনি।
বিস্ফোরক কায়দায় ইফতিখার পান ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ। ছয়ে নেমে ৭১ বলে ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। মাত্র ৬৭ বলে শতরান পূর্ণ করেন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ১১টি চার ও চারটি ছক্কা।
১২৪ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাবর ও ইফতিখার জোট বাঁধেন। ইনিংসের শেষভাগে তরতর করে রান বাড়াতে থাকেন দুজনে। তাদের মারমুখী ব্যাটিংয়ে শেষ ৮ ওভারেই পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে যোগ করে ১১৪ রান।
বাবরের বিদায়ে ভাঙে ইফতিখারের সঙ্গে তার ২১৪ রানের জুটি। মাত্র ১৩১ বলে আসে এই রান। এশিয়া কাপে এটি সব মিলিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ও পঞ্চম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের কীর্তি। পঞ্চম উইকেটে আগের রেকর্ড জুটি ছিল পাকিস্তানেরই উমর আকমল ও শহিদ আফ্রিদির দখলে। ২০১০ সালে ডাম্বুলায় বাংলাদেশের বিপক্ষে তারা যোগ করেছিলেন ১৩৭ রান।
Comments