ফারদিনের মৃত্যু: ১ অক্টোবরের মধ্যে সিআইডিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমার আদেশ

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগও করেন তিনি।
ফারদিন নূর পরশ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে দিতে অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) আবারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সিআইডি আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনো তদন্ত প্রতিবেদন দিতে না পারায় মহানগর হাকিম মো. আলী হায়দার নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

গত ১৬ এপ্রিল আরেক আদালতে ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিনের করা মামলার আসামি আমাতুল্লাহ বুশরাকে নিয়ে ডিবির প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নুরউদ্দিন অনাস্থা আবেদন করলে বিচারক আরও তদন্তের নির্দেশ দেন।

রিট আবেদনে মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীর বাবা কাজী নুরউদ্দিন মামলাটি যথাযথভাবে তদন্ত না করার অভিযোগ এনে অধিকতর তদন্ত দাবি করেন।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগও করেন তিনি।

গত ৮ জানুয়ারি মামলায় জামিন পাওয়া বুশরা আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আইনজীবীর মাধ্যমে বুশরা তার আবেদন জমা দিয়েছেন।

নিখোঁজ হওয়ার ৩ দিন পর গত বছরের ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিনের মরদেহ পাওয়া যায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ফারদিন আত্মহত্যা করে মারা গেছেন। তবে, ফারদিনের বাবার ভাষ্য, তা অসম্ভব।

ফারদিনের বাবা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে গত বছরের ১০ নভেম্বর রাজধানীর বনশ্রীর বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

৫ দিনের রিমান্ড শেষে জামিন আবেদন নাকচ হলে গত ১৬ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এক মাসেরও বেশি সময় তদন্ত শেষে গত ১১ ডিসেম্বর ডিবি ও র‌্যাব জানায়, ব্রিজ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন।

পরদিন ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, এ ঘটনায় বুশরার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।

গ্রেপ্তারের ২ মাস পর চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান বুশরা।

Comments

The Daily Star  | English

$800m repayment to Russia in limbo

About $809 million has piled up in a Bangladesh Bank escrow account to repay loans and interest for the Russia-funded Rooppur Nuclear Power Plant.

8h ago