রক্তদাতা-গ্রহীতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতে কাজ করছে ‘ব্লাডলিংক’

স্বেচ্ছায় রক্তদান সহজ করতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পিয়ার-টু-পিয়ার অনলাইন ব্লাড পোর্টাল এবং অ্যাপ চালু করেছে ব্লাডলিংক। 

সংস্থাটি মূলত তাদের ফেসবুক, পোর্টাল এবং অ্যাপের সাহায্যে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সঙ্গে গ্রাহককে বা যারা রক্ত খুঁজছেন তাদের বিনামূল্যে সংযোগ ঘটানোর কাজটি করে থাকে। 

বর্তমানে ঢাকার ১১টি সেক্টরে ব্লাডলিংকের ৭৫টিরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন, যারা বিনামূল্যে রক্ত দিয়ে যাচ্ছেন। স্বেচ্ছাসেবক দলটি মূলত ঢাকাকেন্দ্রিক হলেও ৬৪ জেলা থেকেই আপনি অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন। 

সেবা নেওয়ার জন্যে প্রথমে অ্যাপ বা পোর্টালটিতে প্রবেশ করতে হবে। সেখান থেকে রক্তের জন্য আবেদন করতে 'অ্যাপ্লাই ফর ব্লাড' অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। তারপর একটি ইন্টার‌্যাক্টিভ মেসেঞ্জার চ্যাটবট পাবেন, যা ব্যবহার করে অল্প সময়ের মধ্যে যে কেউ রক্তের জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

ব্লাডলিংক টিম গ্রাহকের দেওয়া তথ্য পোর্টালে আপলোড করবে এবং দাতারা গ্রাহকের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে নিতে পারবেন। 

এ ছাড়া ব্লাডলিংকের ফেসবুক পেজ এবং মেসেঞ্জার চ্যাটবক্স থেকেও একই ধরনের সেবা পাওয়া যাবে।

ব্লাডলিংকের প্রতিষ্ঠাতা তামজিদ রহমান বর্তমানে সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। ১৫ বছর বয়সী তামজিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার আশেপাশের লোকজনের জরুরি রক্তের প্রয়োজন এবং বর্তমান ডেঙ্গুর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে এই উদ্যোগটি নেওয়া। আমার মনে হয় এই উদ্যোগটি সামাজিকভাবে প্রভাব ফেলবে।'

ব্লাড পোর্টালটি চালুর পর থেকে সংস্থাটি গত এক মাসে ৫৬ ব্যাগ রক্তদানের বিষয়ে সংযোগ ঘটিয়েছে। ব্লাডলিংক টিম সেগুলোর অর্ধেকেরও বেশি সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে।

ভবিষ্যতে ব্লাডলিংক ৬৪-জেলা ভিত্তিক একটি রক্তদাতার ডাটাবেস তৈরি করতে চায়। পাশাপাশি তারা একটি হটলাইনও সেট-আপ করতে চায়। যাতে করে বিনামূল্যে দ্রুত, সহজে এবং অন-ডিমান্ড রক্ত পাওয়া যায়।

তামজিদ বলেন, 'বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ৯ লাখ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। কিন্তু চাহিদার মাত্র ৩২ শতাংশ রক্ত স্বেচ্ছায় রক্তদাতারা সময়মত পূরণ করতে পারেন। তা ছাড়া, বাংলাদেশ এখন বড় ধরনের ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হয়েছে, যা রক্তদানের প্রয়োজনীয়তাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English
remittance earning of Bangladesh

Remittance jumps 32% in May

Migrants sent home $2.97 billion last month

30m ago