টেসলার প্রস্তাবে বৈদ্যুতিক গাড়িতে কর কমাবে ভারত

টেসলা
নিউইয়র্কে ইলন মাস্ক ও নরেন্দ্র মোদি। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রস্তাব মেনে বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানির ওপর কর কমিয়ে নতুন নীতিমালা তৈরির কাজ করছে ভারত।

গতকাল শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সেই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করা হলে ভারত সরকার অন্য আমদানি করা বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর কর কমানোর কথা ভাববে।

ভারত সরকারের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট এক সূত্র বার্তা সংস্থাটিকে জানায়—নতুন নীতিমালা অনুসারে, নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানির ওপর ভারত সরকার ১৫ শতাংশ কর কমিয়ে দেবে।

বর্তমানে ৪০ হাজার ডলারের একটি গাড়ির ওপর এই কর ১০০ শতাংশ। এর কম দামের গাড়ির ওপর কর ৭০ শতাংশ।

টেসলার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া মডেল ওয়াই গাড়ির দাম শুরু হয়েছে ৪৭ হাজার ৭৪০ ডলার থেকে। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'টেসলার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকার সেই প্রস্তাবে আগ্রহ দেখিয়েছে।'

টেসলার প্রস্তাব নিয়ে কাজ করা ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সাংবাদিকদের বলেন, 'বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর কর কমানো সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব আমার কাছে আসেনি।'

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত সরকার যদি কর কমানোর নীতি গ্রহণ করে তাহলে দেশটিতে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি বেড়ে যাবে। তবে স্থানীয় গাড়ি উৎপাদনকারীরা এর বিরোধী।

এতে আরও বলা হয়, আমদানি কর কমানো হলে টেসলা ছাড়া অন্যান্য বিদেশি প্রতিষ্ঠান এর সুবিধা পাবে।

ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ির বাজার হিসেবে উল্লেখ করে রয়টার্স জানায়, দেশটিতে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির হার মোট গাড়ি বিক্রির তুলনায় ২ শতাংশেরও কম। তবে সেখানে বাজারের পরিধি বাড়ছে।

আরেক সূত্র বার্তা সংস্থাটিকে জানিয়েছে, টেসলার প্রস্তাব মেনে ভারত সরকার আমদানি কর কমালে টেসলার স্থানীয়ভাবে তৈরি গাড়ি ছাড়াও অন্যান্য মডেলের গাড়ি বিক্রি বেড়ে যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

7h ago