মামলা তুলে না নেওয়ায় রবিদাস যুবকের পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

আহত সুবাস চন্দ্র রবিদাস হাসপাতালে চিকিৎসাদীন। ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে জমি নিয়ে বিরোধে মামলার জেরে রবিদাস সম্প্রদায়ের এক যুবককে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

আহত সুবাস চন্দ্র রবিদাস (২৮) কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তার মা সাজমতি রবিদাস শুক্রবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুই বছর আগে প্রতিবেশী বজলার রহমানের সঙ্গে আমাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ হয়। সে সময় বজলারের কয়েকজন ভাড়াটে সন্ত্রাসী সুবাসকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। সেবার সুবাস কোনোরকমে প্রাণে বেঁচে যায়। ওই ঘটনায় ফুলবাড়ী থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়। মামলাটি এখন আদালতে বিচারাধীন।'

'বেশ কিছুদিন ধরে বজলারসহ অন্য আসামিরা মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য আমাদের চাপ দিয়ে আসছে। মামলা তুলে না নেওয়ায় বজলারের সন্ত্রাসীরা আবারও আমার ছেলেকে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে,' বলেন তিনি।

সুবাস জানান, বুধবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় স্থানীয় নেওয়াশী বাজার এলাকায় ব্রিজের উপর ৪-৫ জন তার ওপর হঠাৎ হামলা চালায়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে সুবাস বলেন, 'বুধবার রাত ৯টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলাম। পথে নেওয়াশী বাজারে ব্রিজের উপর কয়েকজন আমার ওপর হঠাৎ হামলা চালায়। তারা লাঠি দিয়ে এলোপাতারি পেটায়।'

খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকজন স্থানীয়দের সহযোগিতায় সুবাসকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সুবাস বলেন, 'হামলাকারীদের সবাইকে আমি চিনি। তারা বলছিল মামলা তুলে না নিলে প্রাণে মেরে ফেলবে।'

সুবাসের পরিবার জানায়, বজলার ও তার লোকজন ভিটা ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে। আমরা খুব অসহায় হয়ে পড়েছি। আমাদের বসতভিটা ছাড়া আর কোনো সম্পদ নেই।'

অভিযুক্ত বজলার রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'আমি মারধরের ঘটনার কিছুই জানি না। মিথ্যা ও হয়রানিমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে। আগের ঘটনার সঙ্গেও আমি জড়িত ছিলাম না।'

সুবাস রবিদাসের পরিবারকে তিনি কখনো হুমকি দেননি বলে দাবি করেন।

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছেন। যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

‘Shockingly insufficient’

"The proposed decision to allocate USD 250 billion per year for all developing countries is shockingly insufficient," said the adviser

4h ago