বগুড়া

রাস্তায় পড়েছিল মৃত হাতি, মাহুত পলাতক, খোঁজ নেই মালিকের

বগুড়া সদর উপজেলার নামুজা ইউনিয়নের একটি রাস্তায় হাতিটির মরদেহ পড়েছিল। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় রাস্তার পাশে মৃত হাতি ফেলে রেখে পালিয়েছে মাহুত। হাতিটির মালিক থাকেন বান্দরবান। তার খোঁজ পায়নি পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার সকালে বগুড়া সদর উপজেলার নামুজা ইউনিয়নের বগারপাড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শোলাগাড়ী মোড়ে হাতির মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা।

খবর পেয়ে সেখানে যান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। পরে তিনি পুলিশকে খবর দেন। 

রফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কার হাতি তা জানি না। হাতিটির শরীরের বিভিন্ন জায়গায়, পিঠে, মাথায়, পায়ে, গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে।'

পরে খবর পেয়ে পুলিশ, প্রাণী সম্পদ অফিসের কর্মকর্তা এবং রাজশাহী থেকে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে যান।

বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক নূর জাহিদ সরকার হাতিটি দেখতে যান। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটির বয়স প্রায় ৮০ বছর বলে জানতে পেরেছি। সোমবার রাতে কোনো এক সময়ে হাতিটিকে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।'

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, 'হাতিটির মালিক আজগর। তার বাড়ি বান্দরবন। মাহুত এনামুল হক হাতিটিকে দেখাশোনা করত।'

তিনি জানান, হাতিটিকে বান্দরবন থেকে বগুড়ায় আনা হয়েছিল। বগুড়ায় মহাস্থানগড় এলাকায় এক সার্কাস দল হাতিটি আনতে পারে। হাতিটি বেশ কিছুদিন যাবৎ অসুস্থ ছিল বলে জানা গেছে।

হাতির মাহুত বা মালিক কোথায় জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা নূর জাহিদ বলেন, 'আমরা মালিকের ফোন নম্বর পেয়েছি, কিন্তু তা বন্ধ। অন্যদিকে হাতির মাহুতকে পাওয়া যাচ্ছে না।'

হাতিটি কী কারণে মারা গেছে জানতে চাইলে বগুড়া প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের কর্মকর্তা সুরতহাল রিপোর্ট করছেন। হাতিটি কী কারণে মারা গেছে জানতে আমরা নমুনা সংগ্রহ করেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

6h ago