গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে টিনশেড বাসায় আগুন, দগ্ধ ১১
ঢাকার আশুলিয়ায় একটি টিনশেড বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুনে ৫ নারীসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন।
আহতদের শেখ ফজিলাতুননেছা কেপিজে হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট ও ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে আশুলিয়া ধামসোনা ইউনিয়নের নতুননগর মোথনেরটেক এলাকায় একটি টিনশেড বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মোমতাজ উদ্দিন মোমতাজ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দগ্ধদের মধ্যে গার্মেন্টসকর্মী সাবিনা বেগম (৪০), প্রতিবেশী দোকানদার মহসিন হোসেন (২৭) ও তার মা কমলা বেগম (৫০), নজরুল ইসলাম (৪৫), সাদেকুল (৩০), মো. হাশেম মিয়া (৫০), জোবেদা বেগম (৪০), রেজিয়া বেগম (৩০), আলেয়া নূর (৩৫) ও আমান উল্লাহর (৪৫) নাম জানা গেছে।
ইউপি সদস্য মোমতাজ উদ্দিন বলেন, 'এক নারী পোশাককর্মী কারখানা থেকে রাতে বাসায় ফিরে সিলিন্ডারের গ্যাসের চুলায় রান্না করার সময় হঠাৎ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পুরো টিনশেড বাসায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে।'
দগ্ধদের মধ্যে একজনকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
দগ্ধদের মধ্যে পোশাককর্মী সাবিনা বর্তমানে ঢাকায় বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। তার স্বামী মোতালেব হোসেন ডেইলি স্টারকে জানান, তারা নতুননগর এলাকায় শফিকের সেমিপাকা টিনশেড বাড়িতে ভাড়া থাকেন। শনিবার রাত ৮টার দিকে তাদের বাসায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয় বলে জানান তিনি।
মোতালেব বলেন, 'শব্দের পর আমাদের ঘরসহ পাশের কয়েকটি ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অন্য ভাড়াটিয়াদের সহযোগিতায় কয়েকটি ঘর থেকে ৬ জনকে বের করে আনা হয়। রাতেই তাদের ঢাকায় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায় হয়।'
মোতালেবের মতে, রান্না করার সময় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তারিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে জানান, রাতে ৬ জন রোগী ইনস্টিটিউটে এসেছে। তাদের সবার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।
আহতদের মধ্যে সাদেকুলের শরীরের ৫০ শতাংশ, হাশেমের ৪৫ শতাংশ, নজরুলের ৪৫ শতাংশ, সাবিনার ৫০ শতাংশ, কমলা বেগমের ২০ শতাংশ ও মহসিনের ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পোশাককর্মী জোবেদা কারখানা থেকে শেষে বাসায় ফেরার পর চুলা জ্বালাতে গেলে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। আগুন ছড়িয়ে গেলে তিনি ও কয়েকজন প্রতিবেশী আহত হন। দগ্ধদের মধ্যে জোবেদা বেগম, রেজিয়া বেগম, আলেয়া নূর ও নজরুলকে শেখ ফজিলাতুন্নেছা কেপিজে হাসপাতালে পেয়েছি।'
'গ্যাস সিলিন্ডারের ক্যাপের লিকেজ থেকেই গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি,' যোগ করেন তিনি।
Comments