যুক্তরাষ্ট্রে কর্মস্থলে চ্যাটজিপিটির দাপট, সীমিত হতে পারে ব্যবহার
প্রযুক্তি দুনিয়ায় নতুন সংযোজন চ্যাটজিপিটির দাপট দেখছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো। কর্মস্থলে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনেকে তাদের নিত্যদিনের কাজ সহজেই সারছেন বলে এর ব্যবহার সীমিত করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, রয়টার্স ও ইপসসের যৌথ জরিপে দেখা গেছে যে যুক্তরাষ্ট্রে অনেক প্রতিষ্ঠানে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে কর্মীরা তাদের প্রতিদিনের ইমেল, তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণার প্রাথমিক কাজগুলো সারছেন।
এমন পরিস্থিতিতে মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোয় কর্মীদের এই প্রযুক্তি ব্যবহার সীমিত করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলো যখন চ্যাটজিপিটির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিয়ে ভাবছে, তখন নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলো মেধাস্বত্ব ও তাদের গোপন কর্মকৌশল ফাঁস হয়ে যাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছে।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ১১ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত পরিচালিত এই অনলাইন জরিপে অংশ নেওয়া ২ হাজার ৬২৫ জনের ২৮ শতাংশ বলেছেন যে, তারা কর্মস্থলে নিয়মিত চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেন।
২২ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাদের প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা এই প্রযুক্তি ব্যবহারে স্বেচ্ছায় অনুমতি দিচ্ছে।
তবে জরিপে অংশ নেওয়াদের ১০ শতাংশ বলেছেন, তাদের শীর্ষ কর্মকর্তারা চ্যাটজিপিটিসহ অন্যান্য এআই প্রযুক্তির ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন।
গত ৩০ নভেম্বর উদ্বোধন হওয়া ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি এখন প্রযুক্তির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অ্যাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার প্রভাব নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
গুগল ও মাইক্রোসফটও এ বিষয়ে রয়টার্সের কাছে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
গত মে মাসে স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্স কর্মীদের চ্যাটজিপিটিসহ অন্যান্য এআইভিত্তিক টুলস ব্যবহার নিষিদ্ধ করে।
গত ৩ আগস্ট এক বিবৃতিতে স্যামসাং বলে, 'কর্মীদের কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে এআইয়ের নিরাপদ ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত তা না হয়, ততক্ষণ আমরা প্রতিষ্ঠানের ডিভাইসের মাধ্যমে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার সাময়িকভাবে সীমিত করেছি।'
গত জুনে অ্যালফাবেট কর্মীদের গুগলের 'বার্ড'সহ অন্যান্য চ্যাটবট ব্যবহারে সতর্কতা জারি করে।
আটলান্টায় কোকাকোলার মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, 'এআই কীভাবে কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে পারে, তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা ইতোমধ্যে কোকাকোলা চ্যাটজিপিটি সংস্করণ ব্যবহার করছি।'
অপর শীর্ষ প্রতিষ্ঠান পিঅ্যান্ডজির কর্মীরা চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করতে পারছেন কি না, তা রয়টার্স নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি পিঅ্যান্ডজি।
Comments