চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে ১৬ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩
চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৩ জনের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সাফুল্লাহ মজুমদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখন পর্যন্ত বন্যায় চট্টগ্রামের ৫ উপজেলায় ১৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা গেছে। নিখোঁজ ৩ জনের বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।'
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়। আমরা বিভিন্ন উপজেলার সরকারি অফিস ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় তা জানার চেষ্টা করছি। প্রকৃত তথ্য জানতে আরও অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগবে।'
এই কর্মকর্তা বলেন, 'কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বসতবাড়ির পাশাপাশি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তা নির্ণয় করতে সময় লাগবে। তাছাড়া মাছ চাষি ও গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি জানার জন্য কৃষি ও মৎস্য অফিসের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।'
বন্যায় মৃতদের মধ্যে সাতকানিয়ার ৭ জন, লোহাগাড়ার ৪, চন্দনাইশের ২ জন এবং বাঁশখালী, রাউজান ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১ জনের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এবারের আকস্মিক বন্যায় চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার মধ্যে সবচেয় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণের উপজেলা সাতকানিয়া, বাঁশখালী ও চন্দনাইশ।
এছাড়াও পটিয়া ও আনোয়ারা এবং উত্তরের রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ড, মীরসরাই, হাটহাজারী ও ফটিকছড়ির নিচু এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে সারাদেশের সঙ্গে বান্দরবান ও কক্সবাজারের যোগাযোগ দুইদিন বন্ধ ছিল। গত বৃহস্পতিবার থেকে তা শুরু হলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে কয়েকদিন সময় লাগবে।
এছাড়া এখনো সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলার কিছু নিচু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে আছে।
সড়কের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে দোহাজারি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মো. এরফান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সড়কে যান চলাচল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে। এখন বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের পাশাপাশি রাস্তায় বিকল হয়ে পড়া যানবাহন সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।'
Comments