মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন নির্বাচনে অযোগ্য

মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন। ছবি: রয়টার্স

মালদ্বীপের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। 

তার প্রার্থিতা বাতিলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালত বহাল রাখায় যোগ্যতা হারান তিনি। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিলেন ইয়ামিন।    

আজ রোববার মালদ্বীপের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায় ঘোষণায় বলেন যে, আবদুল্লাহ ইয়ামিন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।

একটি মামলায় ১১ বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় আবদুল্লাহ ইয়ামিন বর্তমানে কারাগারে আছেন। 

কারাগার থেকে আইনজীবীর মাধ্যমে গত সপ্তাহে ৯ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা জমা দেন ইয়ামিন।

নির্বাচন কমিশন প্রার্থিতা বাতিল করে দিলে ইয়ামিনের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। আপিল বিভাগও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন।   

দুর্নীতি ও অর্থপাচার মামলায় মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর ১১ বছরের কারাদণ্ড দেন দেশটির এক আদালত।

এ ছাড়া, তাকে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার জরিমানাও করা হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইয়ামিন।  

এর আগে, ২০১৯ সালে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে ১০ লাখ ডলার আত্মসাতের জন্য তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়েছিল।

ইয়ামিন দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সংবিধানের ১০৯ (ফ) অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করে ইসি জানায়, কোনো নাগরিক ১২ মাসের বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে তার সাজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিংবা আদালত তাকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সেই প্রার্থী অযোগ্য।

২০১৮ সালে ক্ষমতা হারান আবদুল্লা ইয়ামিন। তবে এ বছর মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রগ্রেসিভ পার্টি থেকে তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন। 

রায়ের পর বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুম মালদ্বীপের প্রগ্রেসিভ পার্টি (পিপিএম) এবং পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি) নিয়ে গঠিত বিরোধী জোটকে আগামী নির্বাচন বয়কটের নির্দেশ দিয়েছেন।

লেখক: প্রবাসী সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

13h ago