রাত পোহালেই চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন, কেন্দ্রে পৌঁছেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম

কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। ছবি: সংগৃহীত

আগামীকাল রোববার চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।

সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনসহ সব ধরনের নির্বাচনী সরঞ্জাম ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে।

মোট ১৫৬টি কেন্দ্রের ২০১টি বুথে ভোটগ্রহণ হবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, 'কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ৫৯টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।'

তিনি জানান, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে ১৫ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।

এই উপনির্বাচনে ১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু টাইগার পাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেবেন বলে জানা গেছে। জাতীয় পার্টি প্রার্থী শামসুল আলম মুহুরিপাড়া আল জাবের ইন্সটিটিউটে ভোট দেবেন বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন।

নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী উল্লেখ করে মহিউদ্দিন বাচ্চু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা। অনেক সময় দেখা যায়, উপনির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ থাকে না। তাই ব্যাপক সংখ্যক ভোটার কেন্দ্রে নিয়ে আসা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।'

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামসুল আলম বলেন, 'প্রতিটি কেন্দ্রেই আমার এজেন্ট থাকবে। আশা করছি, আমার নির্বাচনী এজেন্টরা নির্বিঘ্নে প্রতিটি কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন এটি নিশ্চিত করবে যেন তারা নির্বিঘ্নে সেখানে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।'

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, 'প্রত্যেক প্রার্থী ও তাদের নির্বাচনী এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। কেন্দ্রে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

'ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে', যোগ করেন তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Manu Mia, who dug thousands of graves without pay, passes away

He had been digging graves for 50 years and never accepted any payment for his service

46m ago