জাবি: ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ২৪ লেগুনা আটকে রাখার অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের পাশে রাখা লেগুনা। ছবি: সৃংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে ২৪টি লেগুনা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। তবে ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা লেগুনাগুলো আটকে রেখেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে ছাত্রলীগ নেতাদের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল গেইটের সামনে থেকে লেগুনাগুলো আটকানো শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন লেগুনাগুলোর চাবি নিয়ে চলে যান। রাতে লেগুনা মালিক সমিতির নেতারা এলে কয়েকটি লেগুনা ছেড়ে দেওয়া হলেও ১১টি লেগুনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে রাখা হয়। গতকাল বুধবার বিকেলে আরও ১৩টি লেগুনা নিয়ে আসা হয়। মোট ২৪টি লেগুনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের পাশে রাখা হয়েছে।

মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করে লেগুনাগুলো ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতারা।

আজ দুপুর ১২ টার দিকে দেখা যায়, মীর মশাররফ হোসেন হলের পাশে সারি সারি ২৪ টি লেগুনা আটকে রাখা হয়েছে। সেগুলোর পাহারায় হলের নিরাপত্তা প্রহরীকে দায়িত্ব দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতারা।

লেগুনার চালক ও মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাভার থেকে আশুলিয়া রুটে প্রায় দুই শতাধিক লেগুনা নিয়মিত চলাচল করে। লেগুনা আটকে রাখায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক লেগুনা মালিক বলেন, আমার দুইটা লেগুনা আছে ওখানে। আটকে রাখায় আমার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আমি অন্যান্য মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি তারা এনিয়ে আলোচনা করছেন।

ছাত্রলীগ নেতারা বলছেন, সাভার থেকে আশুলিয়াগামী একটি লেগুনা সিএন্ডবি এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ ও মীর মশাররফ হোসেন হলের দুই শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দেয়। তাই তিনটি লেগুনা আটকে রাখা হয়। তবে চালকেরা নকল চাবি দিয়ে সেগুলো নিয়ে চলে যান। এরপর ক্ষোভে শিক্ষার্থীরা লেগুনাগুলো আটকিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'হলের ছোট ভাইয়েরা লেগুনাগুলো আটকায়। মালিক পক্ষের সাথে কথা বলার জন্য ডেকেছি, তবে তারা আসেননি। এভাবে ফিটনেসবিহীন গাড়ি তো সড়কে চলতে পারে না। মালিকপক্ষ না এলে, কাদের কাছে গাড়িগুলো দেবো?'

ক্যাম্পাসে বাইরের লেগুনা আটকে রাখা যায় কি না এমন প্রশ্নে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন ডেইলি স্টারকে বলেন, ছাত্ররা লেগুনাগুলো আটক করে ক্যাম্পাসে নিয়ে এলে তারা বাধা দেন। তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তারা পেরে উঠেননি। বিষয়টি যেহেতু ছাত্র সংশ্লিষ্ট তাই তিনি প্রক্টর এবং রেজিস্ট্রারকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের-হাসানের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Central bank at odds with BPO over Nagad’s future

The discord became apparent after Faiz Ahmed Taiyeb, special assistant to the chief adviser with authority over the Ministry of Posts, Telecommunications and IT, sent a letter to the BB governor on May 12 and posted the letter to his Facebook account recently

1h ago