কৃষ্ণ সাগরে নৌ মহড়ায় নিজেদের জাহাজ ধ্বংস করল রাশিয়া
রুশ নৌবাহিনী কৃষ্ণ সাগরের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে সামরিক মহড়া চালিয়েছে। মহড়ায় একটি রুশ প্রশিক্ষণ জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংস করা হয়।
আজ শুক্রবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
মহড়ার অংশ হিসেবে কৃষ্ণ সাগরে মোতায়েন করা রুশ নৌবহর থেকে একটি রুশ জাহাজের উদ্দেশে এন্টি-শিপ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, 'ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নির্ধারিত জাহাজটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে।'
'(নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর এই) যৌথ মহড়ায় জাহাজ ও উড়োজাহাজগুলো সমন্বিত উদ্যোগের সময় নির্ধারিত এলাকাটিকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। এ সময় সাময়িকভাবে কোনো নৌযান সেখানে প্রবেশ করতে পারেনি। সমুদ্রসীমা লঙ্ঘনকারী (প্রশিক্ষণ) জাহাজটিকে আটক করার জন্যেও বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়', যোগ করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
রাশিয়া বুধবার জানায়, কৃষ্ণ সাগরের মধ্য দিয়ে ইউক্রেনগামী যেকোনো পণ্য পরিবহনকারী জাহাজকে সামরিক উপকরণবাহী নৌযান হিসেবে গণ্য করা হবে। ইউক্রেনের সঙ্গে শস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করার কয়েক দিন পর আসে এই ঘোষণা।
এর আগে টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, তারা বুধবার মস্কোর স্থানীয় সময় মধ্যরাত থেকে কৃষ্ণ সাগরে যাতায়াতকারী জাহাজের ক্ষেত্রে নতুন এই মনোভাবের বাস্তবায়ন করতে শুরু করবে।
তবে ইউক্রেনগামী জাহাজের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটি সুনির্দিষ্টভাবে জানায়নি মন্ত্রণালয়।
রাশিয়া আরও জানায়, কৃষ্ণ সাগরের দক্ষিণ-পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিমে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমার অংশটি এ মুহূর্তে নৌ-চলাচলের জন্য নিরাপদ নয়। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
রাশিয়া সতর্ক করে, মস্কোর অংশগ্রহণ ছাড়া কৃষ্ণ সাগরে শস্য পরিবহণের রুট তৈরি করা 'ঝুঁকিপূর্ণ'।
কিয়েভ জানিয়েছে, রাশিয়া নিজেদেরকে প্রত্যাহার করে নিলেও, তারা দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরগুলো দিয়ে শস্য রপ্তানি অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত।
Comments