ওডেসায় আবারও রুশ হামলা

ওডেসায় রুশ হামলায় এই দালানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছবি: রয়টার্স
ওডেসায় রুশ হামলায় এই দালানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছবি: রয়টার্স

আজ বুধবার ভোর থেকে ইউক্রেনের আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রুশ হামলা প্রতিরক্ষার কাজে ব্যস্ত রয়েছে। আজ টানা দ্বিতীয় দিনের মতো কৃষ্ণ সাগরের তীরে অবস্থিত ইউক্রেনের বন্দর ওডেসা আকাশপথে হামলার শিকার হয়েছে।

আজ বুধবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স ওডেসার গভর্নরের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।

সোমবার ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর গতকাল ও আজ ওডেসায় হামলা চালায় রাশিয়া।

চুক্তি চালু থাকা অবস্থায় মূলত এ বন্দর থেকেই ইউক্রেনীয় শস্য তুরস্ক হয়ে বিশ্বের অন্যান্য অংশে রপ্তানি করা হচ্ছিল।

রাশিয়ার এ সিদ্ধান্তে বিশ্লেষকরা আফ্রিকা ও এশিয়াসহ বিশ্বের অনেক অনেক জায়গায় নতুন করে খাদ্য সঙ্কট ও খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

ওডেসার গভর্নর ওলেহ কাইপার টেলিগ্রামে বলেন, 'কেউ জানালার কাছে যাবেন না। আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা তাদের কার্যক্রমের কোনো ছবি তুলবেন না বা ভিডিওচিত্র ধারণ করবেন না।'

মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকেই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে আকাশ হামলার সতর্কতাসূচক সাইরেন বাজানো হয়।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের মুখপাত্র স্তেফান দুজারিক জানান, ইউক্রেন ও রাশিয়ার শস্য ও সারকে বিশ্ব বাজারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য 'বেশ কয়েকটি বিকল্প প্রক্রিয়া' নিয়ে আলোচনা চলছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে তাদের 'বিশেষ সামরিক অভিযান' শুরু করলে ইউক্রেনের সমুদ্রবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি বন্ধ হয়। অপরদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিধিনিষেধ আরোপ করলে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ২ শস্য সরবরাহকারী দেশ থেকে কার্যত পণ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায় ।

এই অচলাবস্থা ও সঙ্কট নিরসনে জাতিসংঘ ও তুরস্ক গত বছরের জুলাইতে কৃষ্ণ সাগর শস্য চুক্তির প্রস্তাবনা দেয় এবং এতে রাশিয়া ও ইউক্রেন সম্মত হয়।

রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের দাবি মেনে নেওয়া হলে তারা আবারো শস্য চুক্তিতে ফিরে আসতে পারে। রাশিয়ার দাবির মধ্যে আছে তাদের নিজেদের খাবার ও সার রপ্তানি সহজ করা। পশ্চিমা দেশগুলো দাবি করেছে, এর মাধ্যমে রাশিয়া খাদ্য সরবরাহের ভঙ্গুর পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আরোপিত আর্থিক বিধিনিষেধকে পাশ টাকাতে চাইছে।

Comments

The Daily Star  | English

Inside the lives of ride-sharing drivers

On the bustling streets of Dhaka, where traffic moves like molasses and the air hangs heavy with exhaust fumes, a new breed of urban warriors has emerged.

13h ago