কানাডা জানতে চায় আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কী করা দরকার: আমীর খসরু

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

কানাডার হাইকমিশনারের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ হয়েছে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, তারা জানতে চায় যে, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য কী করা দরকার।

ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস ও কানাডা হাইকমিশনের রাজনৈতিক কাউন্সেলর ব্র্যাডলি কোটসের সঙ্গে বৈঠক শেষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে গণামাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা জানান।

কানাডার হাইকমিশনারের সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, 'নীতি-নৈতিকতার দিক থেকে কানাডা বিশ্বখ্যাত। তারা মানবাধিকার, আইনের শাসন, ভোটাধিকার এগুলো নিয়ে কানাডার যথেষ্ট ইন্টারেস্ট আছে। বাংলাদেশে আজকে নির্বাচন, মানবাধিকার, আইনের শাসন—স্বাভাবিকভাবেই তাদের তো একটা কনসার্ন আছে। এই কনসার্ন মাথায় রেখে আগামী নির্বাচন আরও বড় কনসার্ন। অন্যান্য পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশের মতো কানাডারও বিশাল কনসার্ন রয়েছে।'

'আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে কি না এই কনসার্নটা আছে। জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের সংসদ, সরকার নির্বাচন করতে পারবে কি না এবং মানবাধিকার ইস্যুসহ শ্রম অধিকার নিয়ে তাদের বড় কনসার্ন আছে,' বলেন খসরু।

এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, 'তারা জানতে চায় যে, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য কী করা দরকার। প্রয়োজনীয়তা কী কী আছে। বর্তমান পরিবেশ কী সেটা তারা জানে, তারপরও তারা জানতে চায় আমাদের কাছ থেকে।'

'আমরা স্বাভাবিকভাবেই বলেছি, বাংলাদেশের বর্তমান যে পরিবেশ এখানে গণতান্ত্রিক অর্ডার নেই, লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই, বাক-স্বাধীনতা নেই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ; সব কিছু মিলিয়ে বাংলাদেশে এই রেজিমের অধীনে কোনো নিরপেক্ষ-গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই,' বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, 'ভেতরে কী আলোচনা হয়েছে এখানে তো সব কিছু আলোচনা করা সম্ভব না! স্বাভাবিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে (ভিসানীতি) করেছে এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশগুলো বাংলাদেশকে যেভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, কানাডাও বাংলাদেশকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। অতটুকু বলা যায়।'

Comments

The Daily Star  | English

Disrupting office work: Govt employees can be punished within 8 days

The interim government has moved to amend the Government Service Act-2018 to allow swift disciplinary action against its employees who will be found guilty of disrupting official activities.

5h ago