কাঁচা মরিচ পচে গেলে আমি করব কী: বাণিজ্যমন্ত্রী
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাশ্রয়ী রাখতে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আজ বুধবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তেল ও চিনির দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'গতকালকেই ঠিক করা হয়েছে, ১০ টাকা কমানো হয়েছে গ্লোবাল মার্কেটের ওপরে। চিনির ব্যাপারটাতে আমরা বারবার বসছি। গ্লোবাল মার্কেটে চিনির দাম, যেটা ইন্ডিয়া থেকে আনতে পারলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো। ইন্ডিয়া আমাদের কোটা দিচ্ছে না, আমরা ট্রাই করে যাচ্ছি। সব কিছু বিবেচনায় নিয়েই আমরা চেষ্টা করছি যাতে করে সাশ্রয়ী রাখা যায়।'
তিনি বলেন, 'সারা বাংলাদেশের সব জায়গায় আমাদের পৌঁছানো সম্ভব নয়। যেমন কাঁচা মরিচের কথা আসছে মাঝখানে, সেটাও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়...। এখন ঝড়-বৃষ্টিতে যদি কাঁচা মরিচ পচে যায়, তাহলে আমি বাণিজ্যমন্ত্রী বা আমাদের সেক্রেটারি সাহেব করবেনটা কী!'
আরেক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা চামড়ার সম্পূর্ণ প্রতিবেদন নিয়েছি। যেটা বলছে, চামড়ায় পুরোপুরি ব্যর্থ তা কিন্তু নয়! গত পরশু ৭ দিন পরে ঢাকায় যে চামড়া ঢুকেছে, তারা কিন্তু প্রত্যেকে খুশি, দাম পেয়েছে।'
'কাঁচা মরিচ আমাদের নিয়ন্ত্রণে না কিন্তু দায়টা আমাদের ঘাড়েই আসে। যে কয়দিন দাম বেড়েছিল শুধুমাত্র সেই কয়দিন গুগল করে দেখেন কলকাতার বাজারে কী দাম ছিল। উত্তরটা সেখানে পেয়ে যাবেন, আমি তো কলকাতার বাণিজ্যমন্ত্রী না!' বলেন তিনি।
সামনে নির্বাচন হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, 'নির্বাচন আসলে কি আমাদের ভাত খাওয়া বন্ধ হবে? হবে না, এরা (ব্যবসায়ী) যে হাজার হাজার শ্রমিকের দেবে, তারা তো চালিয়ে যাবেই। আর নির্বাচন তো স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আসবে।'
'আর আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি না, নির্বাচন আসলে আমাদের খুব তটস্থ হতে হবে। নির্বাচন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হবে। নির্বাচন আসবে আর আমরা সব হাত বন্ধ করে ঘরে বসে থাকব, তাহলে তো দেশ চলবে না আমার। অতীত অভিজ্ঞতা তা বলে না।'
Comments