নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন: বিএনপির প্রতি তথ্যমন্ত্রী

রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: স্টার

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনগণ বিএনপি ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের এ দেশে মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতি করার সুযোগ আর দেবে না। এ দেশে গাড়ি ও মানুষ পুড়িয়ে জনগণের সম্পদ নষ্ট করে অপরাজনীতি করাও আর সম্ভবপর হবে না।

বিএনপিকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আপনাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। জনগণ কাদের সঙ্গে আছে তা পরখ করে দেখুন। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও এ দেশের মানুষ আবারও ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে পরপর চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে এবং দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে।'

আজ শনিবার সন্ধ্যায় তথ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও বোয়ালখালী আংশিকের স্থানীয় সরকারের সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় রাঙ্গুনিয়ার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবং বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরন্ধীপ ইউনিয়নে ২০০৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত নির্বাচিত সাবেক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, মেয়র ও কাউন্সিলররা অংশ নেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'এখন প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় এবং পত্রিকার পাতায় দেখতে পাই- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন- সরকারকে আর একদিনও সময় দেবে না। এভাবে সময় না দেওয়ার মধ্যে আল্লাহর রহমতে সাড়ে ১৪ বছর আমরা ক্ষমতায় আছি। তারা যতই সময় দেবে না বলে, জনগণ ততই আমাদের সময় বাড়িয়ে দেয়।'

হাছান মাহমুদ বলেন, 'এখন গ্রামে শহরের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। "গ্রাম হবে শহর" ছিল গত নির্বাচনে আমাদের স্লোগান। সমগ্র বাংলাদেশ শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে। এখন দেশ বদলে গেছে, বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম বদলে গেছে। আজকের বাংলাদেশের চিত্রের সঙ্গে ১৫ বছর আগের চিত্রের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Power, Energy Sector: Arrears, subsidies weighing down govt

The interim government is struggling to pay the power bill arrears that were caused largely by “unfair” contracts signed between the previous administration and power producers, and rising international fuel prices.

11h ago