আগস্ট থেকে মালয়েশিয়া গেছেন ২ লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মী

২০২২ সালের ৯ আগস্ট মালয়েশিয়া বিমানবন্দরে প্রথম ৫৩ জন বাংলাদেশি কর্মীকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার। ফাইল ছবি। সংগৃহীত

নতুন কর্মী নিয়োগ কার্যক্রমে গত বছরের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় গেছেন ২ লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মী। যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন আরও ২ লাখ ৬৮ হাজার কর্মী।

আজ শুক্রবার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে, বাংলাদেশ হাইকমিশন ৪ লাখ ২৩ হাজার কর্মীর চাহিদাপত্র সত্যায়ন করেছে। চলতি মাসের ৬ জুলাই পর্যন্ত ১০ হাজার ৭৬৩টি সত্যায়ন আবেদনের বিপরীতে ৪ লাখ ২৩ হাজার ৫৬৯ জন কর্মীর চাহিদাপত্র সত্যায়ন করা হয়েছে।

২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দ্বি-পাক্ষিক সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে নতুন কর্মী নিয়োগের বিষয়ে ৪ বছর আগে জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় মালয়েশিয়া।

গত বছরের ২ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠিত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পর ২ দেশের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো প্রয়োজনীয় নেটওয়ার্কিং হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার স্থাপন করে। 

২০২২ সালের আগস্ট থেকে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশি নতুন কর্মী নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে বাংলাদেশি কর্মী যাওয়ার গতি কিছুটা কম থাকলেও চলতি বছরের প্রথম থেকেই পুরোদমে কর্মী যাচ্ছে দেশটিতে।

বিজ্ঞপ্তিতে হাইকমিশনার জানান, মালয়েশিয়াতে বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশি কর্মীর জরুরি চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন শুরু থেকেই নিবিড় আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে চাহিদাপত্র দ্রুতগতিতে সত্যায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছে। 

বর্তমানে অপেক্ষমান কোম্পানিগুলোর চাহিদাপত্রের সত্যায়ন প্রক্রিয়া দ্রুত করার লক্ষ্যে তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জরুরিভিত্তিতে হাইকমিশনে জমা দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সব সচেতন মহল এবং সব অংশীজনের যথাযথ দায়িত্ববোধ, আন্তরিকতা ও সহায়তা প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।

এদিকে ৬টি খাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগে ১১ লাখ ৩৬ হাজার ২২টি কর্মসংস্থান কোটা অনুমোদন করেছে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে উৎপাদন খাতে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ১০৬টি, নির্মাণ খাতে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮৯৯টি, সেবা খাতে ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৯০টি, আবাদে ৮৫ হাজার ৬৭৮টি, কৃষিতে ৪৯ হাজার ৪৭৩টি এবং খনি ও খনন খাতে ৩৭৬টি কোটা অনুমোদন করা হয়েছে।

মোট কোটার মধ্যে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫৯০টি বা ৪১ শতাংশ চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে ১৮ মার্চের মধ্যে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

গত ১৬ জুন দেশটির জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব তথ্য জানান মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি শিবকুমার।

শিবকুমার বলেন, 'নিয়োগকর্তাদের মাধ্যমে বিদেশি কর্মীদের প্রবেশ প্রক্রিয়ার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া, দেশের স্বার্থ ও খ্যাতি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে নিয়োগকর্তাদের মাধ্যমে শ্রমের মানদণ্ড মেনে চলার দিকেও নজর রাখছে মালয়েশিয়া সরকার।'

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

7h ago