সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা

পেঁয়াজের দাম
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে ট্রাক থেকে পেঁয়াজ নামানো হচ্ছে। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

দেশের খুচরা বাজারে আবারও বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণেই দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে দাম আরও বাড়বে।

ভারতে বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ উৎপাদন ও মানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় ভারতের বাজারে দাম বেড়েছে, বলছেন তারা।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকাল বুধবারের তথ্য বলছে, গত এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫-৭০ টাকায়। সেটি বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এক মাস আগে দাম ছিল ৯০-১০০ টাকা।

টিসিবির তথ্য আরও বলছে, আমদানিকৃত প্রতি কেজি পেঁয়াজ গতকাল ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে তা ৩৫-৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এক মাস আগে দাম ছিল ৪০-৪৮ টাকা।

ভারতের ডিপার্টমেন্ট অব কনজুমার অ্যাফেয়ার্সের তথ্য অনুসারে, গতকাল প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫ রুপিতে বিক্রি হয়েছে। এক মাস আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ২০ রুপি।

ভারতীয় সংস্থাটির তথ্য বলছে, প্রতি কুইন্টাল পেঁয়াজের দাম ছিল ১ হাজার ৯১৫ রুপি। এক মাস আগে একই পরিমাণ পেঁয়াজের দাম ছিল ১ হাজার ৫৫১ রুপি।

রাজধানী ঢাকার শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মাজেদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গতকাল তিনি আমদানিকৃত প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৭-৪০ টাকায় বিক্রি করেছেন। এক মাস আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫-৩৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

তিনি আরও জানান, গত ১০ দিন আগে তিনি আমদানিকৃত পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি করেছেন।

মোহাম্মদ মাজেদ বলেন, 'গতকাল দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬০-৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। এক মাস আগে প্রতি কেজি ৯০-৯৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।'

৫ জুন খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত ওঠার পর আমদানির অনুমতি দেয় বাংলাদেশের সরকার। এর সপ্তাহ খানেকের মধ্যে এর দাম কমে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় নেমে আসে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রবল বৃষ্টির কারণে প্রতিবেশী ভারতে পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত ও গুণগতমান নষ্ট হয়েছে। যে কারণে সেখানে এর দাম বেড়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৪ জুলাইয়ের তথ্য অনুসারে, ৯ লাখ ২৫ হাজার ৩১৮ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির বিপরীতে দেশে এখন পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৩৮ টন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, এ বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টন। তারপরও ৬ থেকে ৭ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি প্রয়োজন। কেননা, যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ নষ্ট হয়।

ভোমরা স্থলবন্দরের ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টেস অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপঙ্কর ঘোষ ডেইলি স্টারকে বলেন, আমদানির ফলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজের কমেছে।

'তবে ভারতে পেঁয়াজের চারার দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে যে পরিমাণ কমার আশা করা হয়েছিল তা হয়নি,' যোগ করেন তিনি।

পেঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে ডলারের দাম বেশি হওয়াকেও দায়ী করছেন আমদানিকারকরা।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

57m ago