বাংলাদেশে হৃদয়ের একটি অংশ রেখে যাচ্ছি: এমিলিয়ানো

ছবি: ইন্সটাগ্রাম

বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকরা এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে 'বাজপাখি' নামে ডেকে থাকেন। গত কোপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফর্ম করা আর্জেন্টিনার গোলরক্ষকের প্রতি তাদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ এটি। এই নামটি সম্পর্কে জেনে মুগ্ধ তিনি। বাংলাদেশে সংক্ষিপ্ত সফরে পাওয়া আতিথেয়তা ছুঁয়ে গেছে তার হৃদয়। এমিলিয়ানো জানালেন, এদেশে ফিরতে অপেক্ষায় থাকবেন তিনি।

আমস্টারডাম থেকে সোমবার ভোরে বাংলাদেশে পা রাখেন এমিলিয়ানো। তার মূল সফরটি ভারতের কলকাতায়। ঢাকায় ১১ ঘণ্টা অবস্থানকালে প্রকাশ্যে কোথাও উপস্থিত হননি তিনি। ফলে তাকে ঘিরে সমর্থকদের তুমুল উন্মাদনা দেখার সুযোগ মেলেনি তার।

সকালে ডিজিটাল ব্যবসায়িক গোষ্ঠী নেক্সট ভেঞ্চার্সের কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন এমিলিয়ানো। বাংলাদেশে তার সফরের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান এটি। সেখানকার আয়োজনে ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এমিলিয়ানো।

বিদায়বেলায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে বাংলাদেশ সফরের পাঁচটি ছবি পোস্ট করেছেন এমিলিয়ানো। সেখানে জানিয়েছেন এদেশের মানুষের দেওয়া ভালোবাসা অনুভব করার কথা, 'নেক্সট ভেঞ্চার্স ও ফান্ডেডনেক্সটের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে বাংলাদেশে অসাধারণ একটি সফর করলাম। এখানকার মানুষ আমার হৃদয়কে বিগলিত করেছে তাদের ভালোবাসা, যত্ন ও অতুলনীয় আতিথেয়তা দিয়ে। নিকট ভবিষ্যতে এই সুন্দর দেশটিতে ফিরে আসতে গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকব।'

চেনা-অচেনা বহু মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন তিনি, 'প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও অগণিত আরও অনেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, যাদের নামও হয়তো আমি জানি না, কিন্তু তাদের ভূমিকাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে এখন যে বিশেষ বন্ধনে আমি যুক্ত, তা গড়ে তোলায় আপনাদের সবার অবদান আছে।'

বাজপাখি নামটি ও বাংলাদেশের প্রতি তীব্র ভালোবাসা তুলে ধরেছেন এমিলিয়ানো, 'পরের সফরের আগপর্যন্ত আমি আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিলেও এখানে হৃদয়ের একটি অংশ রেখে যাচ্ছি। আমি চিরকাল বাংলাদেশ বাজপাখি হিসেবে জাদুমুগ্ধ হয়ে থাকব।'

গত বছর কাতার বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠে এমিলিয়ানো। আসরটি চলাকালে তাকে ও গোটা আর্জেন্টিনা দলকে নিয়ে বাংলাদেশি সমর্থকদের উন্মাদনা ছিল বাঁধনহারা। সেসব উঠে আসে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও, যা নজর এড়ায়নি এমিলিয়ানোদেরও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি নিজেও বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Industrial output soars, but where are the jobs?

Over the past decade, more and more industries have sprung up across the country, steadily increasing production. But while output rose, factories did not open their doors to more workers.

9h ago