গভীর সমুদ্র থেকে পাইপলাইনে তেল খালাস শুরু

ছবি: সংগৃহীত

গভীর সমুদ্র থেকে ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন দিয়ে জ্বালানি তেল খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

আজ রোববার বিকেল ৪টার দিকে প্রথমবারের মতো গভীর সমুদ্রের মুরিং থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি প্ল্যান্টে অপরিশোধিত তেল পরিবহন কার্যক্রম শুরু হয়।

এর মাধ্যমে বাংলাদেশ জ্বালানি খাতে এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লোকমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) এর সাথে সৌদি আরব থেকে ৮২০০০ টন অপরিশোধিত তেল নিয়ে আসা এমটি হোরাই জাহাজের সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। বিকাল ৪টার দিকে সংযোগ স্থাপন করলেও তেল খালাস কার্যক্রম পুরোদমে চালু হবে আজ রাত আনুমানিক ৯টায়।

তিনি বলেন, 'এর মাধ্যমে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটবে এবং জ্বালানি খাতে বাংলাদেশ এক নতুন যুগে প্রবেশ করবে।'

তিনি বলেন, 'গত ২৫ জুন কমিশনিং হওয়ার কথা থাকলেও সাগর উত্তাল থাকায় তা সম্ভব হয়নি।'

জানা গেছে, সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্পের অধীনে দুটি সমান্তরাল পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। যার একটি অপরিশোধিত তেলের জন্য এবং অন্যটি ডিজেলের জন্য। গভীর সমুদ্রে একটি ভাসমান মুরিং পয়েন্ট এবং মহেশখালীতে একটি স্টোরেজ ট্যাংক টার্মিনাল রয়েছে।

তিনি বলেন, 'এখন অপরিশোধিত তেল পরিবহন হচ্ছে। অপর পাইপলাইনে ডিজেল এবং পর্যায়ক্রমে অন্যান্য তেল পরিবহন করা হবে। পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল পরিবহণ করার কারণে জ্বালানি তেল পরিবহন সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি অপচয় বন্ধ হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'এখন ছোট ছোট লাইটার জাহাজ ব্যবহার করে গভীর সমুদ্র থেকে ১ লাখ টন তেল আনলোড বা খালাস করতে ১০-১১ দিন সময় লাগে। এখন পাইপলাইনের মাধ্যমে পরিবহনে সময় লাগবে মাত্র দুই থেকে তিন দিন। কখনো কখনো সমুদ্র উত্তাল হলে জাহাজ থেকে তেল আনলোড করতে সমস্যা হতো যা এখন হবে না।'

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এর মতে, বিপিসি চীনের এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে ৭ হাজার ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ২০১৫ সালে পাশ হওয়া এ প্রকল্পটির প্রাথমিক ব্যয় ছিল ৪৯৩৫ কোটি টাকা এবং প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল।

Comments

The Daily Star  | English

Cyber protection ordinance: Draft fails to shake off ghosts of the past

The newly approved draft Cyber Protection Ordinance retains many of the clauses of its predecessors that drew flak from across the world for stifling freedom of expression.

9h ago