পাইপলাইনে ত্রুটি, সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে জ্বালানি তেল খালাস বন্ধ

মুরিং পয়েন্ট
ইস্টার্ন রিফাইনারিতে সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে জ্বালানি তেল সরবরাহে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান মুরিং পয়েন্ট। ছবি: সংগৃহীত

পাইপলাইনে ত্রুটির কারণে চালু হওয়ার ৩ দিনের মাথায় সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে ইস্টার্ন রিফাইনারি প্ল্যান্টে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

গতকাল বুধবার বিকেল থেকে তেল খালাস বন্ধ আছে বলে কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।  

দীর্ঘ অপেক্ষার পর গত রোববার সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয়ের (এসপিএম) সঙ্গে সৌদি আরব থেকে আসা ৮২ হাজার টন অপরিশোধিত তেলবাহী জাহাজের সংযোগ স্থাপন হয়।

পরদিন সকাল ১০টা থেকে তেল খালাস শুরু হয়। 

সমুদ্রের তলদেশে স্থাপন করা প্রায় ১১০ কিলোমিটার পাইপলাইন দিয়ে তেল খালাসের জন্য জাহাজটি গত ২৪ জুন থেকে অপেক্ষা করছিল।

ইস্টার্ন রিফাইনারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লোকমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঠিক কী কারণে তেল খালাস বন্ধ আছে তা এখনো প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান জানায়নি। পাইপলাইনের ত্রুটি নাকি, পাইপলাইন ফেটে গেছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারব না।'

তিনি আরও বলেন, 'পাইপলাইন ঠিক করতে কত সময় লাগবে তা নিশ্চিত নয়। এ কারণে দুয়েকদিনের মধ্যে আগের মতো ছোট ছোট লাইটারেজ জাহাজে করে তেল খালাস শুরু হবে।'

জানা গেছে, সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্পের অধীনে দুটি সমান্তরাল পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। যার একটি অপরিশোধিত তেলের জন্য এবং অন্যটি ডিজেলের জন্য। 

গভীর সমুদ্রে একটি ভাসমান মুরিং পয়েন্ট এবং মহেশখালীতে একটি স্টোরেজ ট্যাংক টার্মিনাল স্থাপন করা রয়েছে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) তথ্য অনুযায়ী, চীনের এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে ৭ হাজার ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বিপিসি। ২০১৫ সালে অনুমোদন পাওয়া এ প্রকল্পটির প্রাথমিক ব্যয় ছিল ৪ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা। এটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে।

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

6h ago