আশা করছি, আমাকে খুব বেশি বল করতে হবে না: স্মিথ

ছবি: এএফপি

অ্যাশেজ সিরিজের লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ ওভার করেন স্টিভেন স্মিথ। অফ স্পিনার ন্যাথান লায়নের চোট গুরুতর হলে তাকে বল হাতে আরও ভূমিকা রাখতে হবে। তবে তেমনটা যাতে না ঘটে, খুব করে সেই প্রত্যাশায় আছেন তিনি। কারণ, লম্বা সময় ধরে বোলিং নিয়ে কোনো কাজই করেননি স্মিথ।

গতকাল বৃহস্পতিবার ফিল্ডিংয়ের সময় মাংসপেশিতে টান লাগায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়েন লায়ন। তার চোখেমুখে ছিল যন্ত্রণার পরিষ্কার ছাপ। ফলে অস্ট্রেলিয়া পড়েছে ভীষণ শঙ্কায়। তাদের বোলিং আক্রমণে বিশেষজ্ঞ স্পিনার কেবল একজনই। বাকিরা সবাই পেসার- মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজেলউড। ফলে অনিয়মিত স্পিনারদের দিকে নজর দিতে হচ্ছে সফরকারীদের। লায়ন বেরিয়ে যাওয়ার পর ট্রাভিস হেড ৫ ওভার হাত ঘোরান। আর দিনের শেষ ওভারে বোলিংয়ে দেখা যায় স্মিথকে।

দিনের প্রথম সেশনেই ৩২তম টেস্ট সেঞ্চুরি করে সাবেক অজি অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহকে ছুঁয়ে ফেলেন স্মিথ। এরপর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও তাকে অবদান রাখতে হচ্ছে। ক্যারিয়ারের শুরুতে লেগ স্পিনার হিসেবেই অস্ট্রেলিয়া দলে খেলতেন তিনি। তবে পুরোপুরি ব্যাটারে রূপান্তরিত হওয়ার পর থেকে বল হাতে নিয়মিত নন তিনি।

দিনের খেলা শেষে ৩৪ বছর বয়সী স্মিথ গণমাধ্যমকে জানান নিজের বোলিং নিয়ে ভাবনা, 'আশা করছি, আমাকে খুব বেশি বল করতে হবে না। আমি আমার বোলিং নিয়ে (অনেক দিন ধরে) একদমই কাজ করছি না। আমার মতে, হেড ঠিকঠাক বল করেছে। (লায়ন না থাকলে) স্পিন বিভাগে হেডকেই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। এর বাইরে আমি আর মারনাস (লাবুশেন) হয়তো ফাঁকে ফাঁকে বোলিংয়ে আসব।'

প্রথম বিশেষজ্ঞ বোলার হিসেবে টানা ১০০ টেস্ট খেলার অনন্য কীর্তি গড়ার ম্যাচেই চোটে পড়েছেন লায়ন। তার আঘাত কতটা গুরুতর তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে স্মিথের কণ্ঠে ছিল দুশ্চিন্তা, '(লায়নকে) দেখে তো ভালো মনে হয়নি। ম্যাচের বাকিটুকুর জন্য তার অবস্থা দেখে ভালো মনে হচ্ছে না। তার অবস্থা আসলে কেমন তা এখনও নিশ্চিত নই… তবে যদি সে ভালো বোধ না করে, আমাদের জন্য অবশ্যই সেটা হবে বিরাট ধাক্কা।'

দ্বিতীয় দিন শেষে কোনো দলকেই স্পষ্টভাবে এগিয়ে রাখার উপায় নেই। অস্ট্রেলিয়ার ৪১৬ রানের জবাবে ৪ উইকেটে ২৭৮ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে স্বাগতিকরা পিছিয়ে আছে ১৩৮ রানে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজেও ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে তারা। এজবাস্টনে হওয়া প্রথম টেস্টে অজিদের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল লায়নের। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া, পঞ্চম দিনের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে অধিনায়ক কামিন্সের সঙ্গে ম্যাচ জেতানো অসাধারণ জুটি গড়েন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus speech at Earthna Summit 2025 in Doha

No one too poor to dream, no dream too big to achieve: Yunus

He says in his keynote speech at Earthna Summit 2025 in Doha

1h ago