বাজেটের মধ্যে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার ৭ টিপস

ছবি: সংগৃহীত

আপনি যদি জীবনযাপনের খরচ কমাতে চান বা সঞ্চয় করতে চান, তবে রেস্টুরেন্টে না খেয়ে পছন্দের খাবারটা বাসায় রান্না করার পরামর্শই দেবে সবাই। তবে সবসময় কি আর বাসার খাবার ভালো লাগে? এক্ষেত্রে পকেটের ওপর চাপ না ফেলেও কিন্তু মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে ঢুঁ দিতে পারেন।

চলুন জেনে নিই কীভাবে-

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে নয়

রেস্টুরেন্টে খাওয়ার ক্ষেত্রে অর্থ সাশ্রয়ের আদর্শ উপায় হচ্ছে সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে অর্থাৎ উইক ডেতে খেতে যাওয়া। রেস্টুরেন্টগুলোতে উইক ডেতে বিভিন্ন অফার চলে প্রায়ই, যেগুলো আবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পাওয়া যায় না। এই সুযোগটা কাজে লাগে পারেন।

 

 

কুপন ও ডিসকাউন্ট

ম্যাগাজিন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিজ্ঞাপন ও কুপনের দিকে নজর রাখুন। গ্রাহকদের দ্রুত আকৃষ্ট করার জন্য অনেক রেস্টুরেন্ট তাদের নতুন আউটলেটে 'গ্র্যান্ড ওপেনিং স্পেশাল' বা পুরোনো আউটলেটের আয় বাড়াতে '১টি কিনলে ১ টি ফ্রি' অফার দেয়। এগুলো কাজে লাগাতে পারেন।

বিল পরিশোধ করার আগে রেস্টুরেন্ট কোনো ছাড় দিচ্ছে কি না তা তাদের ওয়েবসাইটে বা ওয়েটারের কাছ থেকে জেনে নিন। কুপন দেখিয়ে বিল দিচ্ছেন ভেবে বিব্রত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ রেস্টুরেন্টগুলো গ্রাহকের সন্তুষ্টি এবং আরও গ্রাহক পেতেই এসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে।

পানীয়তে খরচ নয়

মূল খাবারের সঙ্গে সোডা, শেক বা চায়ের মতো পানীয় নিলে খাবারের দামের সঙ্গে আরও অনেকটা বাড়তি খরচ যোগ হয়। সবচেয়ে ভালো উপায় হলো এগুলোর পরিবর্তে শুধু পানি পান করা।

চিন্তাভাবনা করে খাবার বাছাই

রেস্টুরেন্টে যাওয়ার আগেই সেই রেস্টুরেন্টের মেনু এবং সবকিছুর দাম কত হবে তা অনলাইনে দেখে নিলে ভালো। এর ফলে কত টাকা খরচ হতে পারে তার ধারণা পাবেন এবং চিন্তাভাবনা করে তুলনামূলক কম খরচে কী কী খাওয়া যাবে তার তালিকাও করে ফেলতে পারবেন। কী অর্ডার করতে হবে এবং কত টাকা দিতে হবে তা নির্ধারণ করার সময়, ওয়েটারকে টিপ দিতে হতে পারে সেটিও মাথায় রাখবেন।

খরচ কমাতে দাম কম এমন খাবার বাছাই করতে হবে। পরিমাণে কম নেওয়ার সুযোগ থাকলে সেভাবে নিন। মৌসুমি ফল ও সবজি দিয়ে তৈরি খাবারের দাম কম হতে পারে। সেগুলো বেছে নিন।

ডেজার্টের বিকল্প খুঁজে নেওয়া

মিষ্টিপ্রেম এবং বাড়তি খরচ সামলানো—কোনটি করবেন চিন্তায় পড়ে গেছেন? দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দুটি কাজই একসঙ্গে সম্ভব। অর্থাৎ কম খরচে হতে পারে ডেজার্টও। কিন্তু সেজন্য হতে হবে কৌশলী। রেস্টুরেন্টে সাধারণত ডেজার্টের দাম বেশি হয়ে থাকে। তাই সেখানে আপনার মিষ্টিপ্রেম দমিয়ে রাখাই শ্রেয়। আপনি বরং রাতের খাবারের পর হাঁটতে যাওয়া এবং রাস্তায় আইসক্রিম কিনে খাওয়াকে বেছে নিতে পারেন বা কম ব্যয়বহুল ডেজার্ট স্পটে যেতে পারেন।

শেয়ার করুন

একসঙ্গে দল বেঁধে খেতে গেলে ও শেয়ার করলে খাবারের খরচও কম হয় এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার চেখেও দেখা যায়। রেস্টুরেন্টের খাবার প্রায়ই বিশাল আকারের হয়ে থাকে। বিল শেয়ার করে বন্ধুদের সঙ্গে সেগুলো উপভোগ করতে পারেন। ভাত, পিৎজা, টাকোস, ফ্রাই এবং নাচোস জাতীয় খাবার গ্রুপ ডিনারের জন্য উপযুক্ত। এ ছাড়া বন্ধু বা সহকর্মীদের সঙ্গে খাবার ভাগ করে খেলে সম্পর্ক মজবুত হয়।

এক্সট্রা, অ্যাড ও প্লাস এড়িয়ে চলা

মেনু দেখার সময় বা ওয়েটারের সঙ্গে কথা বলার  সময় এক্সট্রা, অ্যাড ও প্লাসের দিকে নজর রাখুন। এগুলো মানেই কিন্তু বাড়তি খরচ। অর্থ সাশ্রয় করতে চাইলে অতিরিক্ত সস, চিজ, মাংসের প্যাটি বা অন্যান্য টপিং বাদ দেওয়া উচিত।

অনুবাদ করেছেন আসরিফা সুলতানা রিয়া

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

2h ago