কারিগরি শিক্ষা নিয়ে সামাজিক ট্যাবু ভাঙার তাগিদ শিক্ষামন্ত্রীর

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ছবি: সংগৃহীত

সমাজে কারিগরি শিক্ষা নিয়ে যে সামাজিক ট্যাবু আছে, তা ভাঙার তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

তিনি বলেছেন, যে দেশ যত বেশি উন্নত ও সমৃদ্ধ হয়েছে, সে দেশে কারিগরি শিক্ষার হার তত বেশি। কারিগরি শিক্ষা নিয়ে এক ধরনের সামাজিক ট্যাবু আছে। সেই ট্যাবু দূর করতে হবে। দেশের প্রতিবছর লাখ-লাখ অনার্স-মাস্টার্স গ্রাজুয়েট তৈরি হচ্ছে। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে না।

আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সংগঠনটির সদস্যদের সন্তানদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে এসএসসি ও এইচএসসিতে উত্তীর্ণ মোট ৪৫ শিক্ষার্থীর হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।

এ আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপু মনি বলেন, 'যারা ট্রেড কোর্সে পড়ালেখা করেন তারা অনেক আগেই কর্মজীবনে চলে যান। তারা অনেক বেশি ভালো রোজগার করেন। আমরা যেটা করার চেষ্টা করছি, কেউ যদি ট্রেড কোর্সে থেকে অন্য শিক্ষার পথে যেতে চান, সেই পথ আমরা খুলে দিচ্ছি। এই ব্যবস্থা ছিল না।'

শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ দক্ষতার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, 'জীবনে চলার পথে সবচেয়ে বেশি জরুরি হচ্ছে যোগাযোগের দক্ষতা। আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু জানে। কিন্তু তাদের যদি প্রশ্ন করা হয়, তুমি কি জানো- সেটা তারা প্রকাশ করতে পারে না। যোগাযোগের দক্ষতা গড়ে উঠছে না, তাই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাও এগোচ্ছে না।'

এছাড়া অভিভাবকদের প্রত্যাশার চাপ শিশুদের ওপর চাপিয়ে না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, 'আমরা বাচ্চাদের আত্মবিশ্বাস, আত্মসম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছি। বাচ্চাদের শিক্ষাজীবনের শুরুতে কোন একটি স্কুলে ভর্তি না হতে পারায় তারা নিজেদের অপরাধী ভাবে। আমরা জীবনের শুরুতেই তাদের মানসিকভাবে ভঙ্গুর করে দিচ্ছি। সন্তানকে মানসিকভাবে চাপ দেবেন না। সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য অনেক অনেক জরুরি।' 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের (এসবিএসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হাবিবুর রহমান। 

ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় ও সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অর্থ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন, দপ্তর সম্পাদক কাওসার আজম ও কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ।

এছাড়া অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্য থেকেও বেশ কয়েকজন বক্তব্য দেন।

 

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

18h ago